সবুজ মেরুন জনতার অধুনা হার্টথ্রব তিনি। তাঁর আসার খবরে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা ময়দান। ডার্বিতে দুঃস্বপ্নের অভিষেক ঘটেছিল দিন দশেক আগে। তবে সেই স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং পর্বে টানা দুটো ম্যাচে গোল করেছেন।
জেসন কামিন্স বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি মোহন জনতার হৃদয় জয় করতেই এসেছেন। মাছিন্দ্রা ম্যাচে দুরন্ত গোল করেছিলেন। আবাহনীর বিরুদ্ধে তাঁর পা থেকে এল পেনাল্টি গোল। 7ম্যাচের শেষে অজি সুপারস্টার বলে দিয়েছেন, "গোল করতে পেরে ভালো লাগছে। ম্যাচের প্রেক্ষিতে গোল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জয় হাসিল করে গ্রুপ পর্বে পৌঁছনো। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরও ভালোভাবে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি।"
প্রথমার্ধে আবাহনী দারুণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল বাগানকে। বিরতির পর তীব্রভাবে ম্যাচে ফেরে সবুজ মেরুন শিবির। কী পেপটক দিয়েছিলেন হুয়ান ফেরান্দো? কামিন্স জানাচ্ছেন, "প্রথমার্ধে আমরা মোটেই নিজেদের সেরা ছন্দে ছিলাম না। তবে পেনাল্টি থেকে করা গোলে আমরা লাইফলাইন পাই। দলকে ম্যাচে ফেরানোর গোল করতে পেরে ভাল লাগছে। আমাদের ম্যাচে আরও প্রেসিং ফুটবল খেলতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোচ বল পজেশন বেশি রেখে প্রতিপক্ষ অর্ধে প্রেস করতে বলেছিলেন। আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ দখলে রেখে আরও সুযোগ তৈরি করছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে আমরা দারুণ জয় ছিনিয়ে নিয়েছি।"
আবাহনীর বিপক্ষে ঘরের মাঠেই বাগান পিছিয়ে পড়েছিল। বিশাল কাইথের ভুলের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে গোল করে যান কর্ণেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় জেসন কামিন্সের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে ঝড় তুলে আরও দুই গোল করে সবুজ মেরুন শিবির।
প্ৰথমে হুগো বুমোস আত্মঘাতী গোল করতে বাধ্য করেন আবাহনীর মিলাদ শেখকে। তারপরেই আর্মান্দো সাদিকু ৩-১ করে যান।