এটিকে মোহনবাগান: ১ (ফারদিন আলি মোল্লা)
কুয়ালালামপুর সিটি এফসি: ৩ (জোসু, ফখরুল আইমান, মোরালেস)
স্থান, কাল, পাত্র বদলাল। তবে খেলার ফলাফল বদলাল না। হাবাসের পর সেই ব্যর্থতার সরণিতেই হাঁটলেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। গত বছর এফসি নাসাফের কাছে হেরে এএফসির ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এবারও ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের বাধা পেরোতে পারল না সবুজ মেরুন শিবির। এএফসি থেকে বিদায় ঘটল কুয়ালালাম সিটি এফসির বিরুদ্ধে ১-৩'এ বিধ্বস্ত হয়ে।
ডুরান্ডে ব্যর্থতার আবহে এএফসিতে নেমেছিল বাগান। নিজেদের ঘরের মাঠে হোম এডভান্টেজ ছিল এটিকে মোহনবাগানই। তবে বুধবার মাথা নিচু করেই যুবভারতী ছাড়তে হল সবুজ মেরুন শিবিরকে।
আরও পড়ুন: Emami ইস্টবেঙ্গলের প্ৰথম বোর্ড মিটিংয়েই বেনজির সিদ্ধান্ত! দলের সঙ্গে এবার যাবেন কর্তারাও
কুয়ালালামপুরের হয়ে বুধবার গোল করে যান পাওলো জোশু, ফখরুল আইমান এবং রোমেল মোরালেস। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোল ফারদিন আলি মোল্লার।
প্রথমার্ধে বল পজেশনে অনেক এগিয়ে ছিল এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন, মনবীররা একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিপক্ষের অর্ধে। তবে সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। কুয়ালালামপুরের রক্ষণ বারবার সবুজ মেরুনের আক্রমণ প্রতিহত করে দিচ্ছিল। অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার গ্যালিফুওকো, রাইটব্যাক কামাল আজিজি, গোলকিপার আজরি ঘানিও নজর কাড়লেন বেশ।
বিরতিতে গোলশূন্য ছিল ফলাফল। দ্বিতীয়ার্ধেও চারটে গোল! ম্যাচের বয়স যখন ঠিক একঘন্টা সেই সময় খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল করে যান কুয়ালালামপুর সিটির ক্যাপ্টেন পাওলো জোশু। লুজ বল পেয়ে বাঁ পায়ে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন তারকা। বাঁচানোর কোনও সুযোগই পাননি কাইথ।
আরও পড়ুন: ইস্ট-মোহনের আইলিগ চ্যাম্পিয়ন বাঙালি এবার গোকুলামে! ডুরান্ডের মাঝেই বিরাট দলবদল
এরপরে কোচ ফেরান্দো কিয়ান নাসিরি এবং আশিস রাইকে নামিয়ে দেন আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ানোর জন্য। তবে ম্যাচের যাবতীয় উত্তেজনা তৈরি ছিল সংযোজিত সময়ের জন্য। প্ৰথমে ৯১ মিনিটে রিবাউন্ড থেকে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ১-১ করে যান ফারদিন আলি মোল্লা।
তবে শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেও সেই আনন্দ মেরিনার্সদের বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কুয়ালালামপুরের হয়ে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই জোশু। ব্রাজিলীয় তারকার দুর্ধর্ষ ক্রস ধরেই ফখরুল ২-১ করে যান ৯৩ মিনিটে। আর বাগানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন ফ্লোরেন্তিন পোগবা।
দ্বিতীয় গোল হজম করার রেশ কাটার আগেই ৯৫ মিনিটে বাঁশি বাজার ঠিক আগে গোল করে যান কলম্বিয়ান মোরালেস। পোগবার ভুলে বিশাল কাইথকে গোলের সামনে একা পেয়ে যান মোরালেস। ঠান্ডা মাথায় ৩-১ করে যান তারকা।
জনি কাউকো বরাবরের মত দুর্ধর্ষ। একাই সবুজ মেরুন মাঝমাঠ কন্ট্রোল করে গেলেন। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেন। তবে সেই সুযোগ কনভার্ট করারই যা কেউ নেই। প্রীতম কোটাল, ফ্লোরেন্তিন পোগবা, মনবীর সিং যে ফেরান্দোর ফর্মেশনে মানিয়ে নিতে পারছেন না, তা স্পষ্ট।
রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসদের বিকল্প যে ভারতীয় স্ট্রাইকাররা হতে পারেন না, সেই উপলব্ধি কি কোচ ফেরান্দোর হবে বুধ-বিপর্যয়ের পর, প্রশ্ন সেটাই।
এটিকে মোহনবাগান: জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ, মনবীর সিং, শুভাশিস বোস, লিস্টন কোলাসো, প্রীতম কোটাল, দীপক টাংরি, বিশাল কাইথ, ব্রেন্ডন হ্যামিল, আশিক কুরুনিয়ান, ফ্লোরেন্তিন পোগবা