AFG vs SA ODI: আফগানিস্তান বিশ্বে পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। গত টি২০ বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছনো যে ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ করে দিল আফগানরা আবার-ও। টি২০ বিশ্বকাপের সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আফগানদের। সেই প্রোটিয়াজদের বিরুদ্ধেই এবার এল ইতিহাস গড়া ওয়ানডে সিরিজ জয়।
রশিদ খান ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলকে ১৭৭ রানে বিশাল জয় এনে দিলেন তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। টানা দু ম্যাচ জিতে সিরিজ দখল করে নিল আফগানিস্তান। শারজায় এটাই জয় আপাতত আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জয়ের নজির। পিছনে পড়ল জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রানে এতদিন বৃহত্তম জয়ের নজির-ও।
বুধবার আফগানিস্তানের জয় এসেছিল ৬ উইকেটে। আর শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো শক্তিশালী প্রোটিয়াজরা দাঁড়াতেই পারেনি রশিদ খানের ঘূর্ণির কাছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ৩১১ রান স্কোরবোর্ডে খাড়া করেছিল রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুরন্ত শতরান এবং রহমত শাহ (৫০) এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের (৮৬) চোখ ধাঁধানো হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ৭৩ রানের ওপেনিং জুটির পর আর লড়াই করতে পারেননি। রশিদ খানের স্পিনে প্রোটিয়াজদের মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ধসে পড়ে সম্পূর্ণভাবে। ৯ ওভারে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন রশিদ খান। নাঙ্গলেয়া খারোটে ২৬ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। ৩২.৪ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্যাপ্টেন হাশমাতুল্লাহ শাহিদি টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেরিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যান ওপেনার রহমনুল্লাহ গুরবাজ। রিয়াজ হাসানের সঙ্গে ৮৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে যান গুরবাজ। ১০৭ বলে গুরবাজের ইনিংস সাজানো ১০ বাউন্ডারি এবং তিনটে ছক্কায়। শেষমেশ নান্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে আফগানদের মধ্যে সর্বাধিক সেঞ্চুরির নজির আপাতত গুরবাজেরই। পিছনে ফেললেন আহমেদ শেহজাদকে।
এরপরে রহমত শাহ ৬৬ বলে ৫০ করে যান। শেষদিকে ঝড় তোলেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। টি২০-র মেজাজে ৫০ বলে ৮৬ করে যান। পাঁচটা বাউন্ডারির পাশাপাশি হাফডজন ছক্কাও হাঁকান তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা (৩৮) এবং টনি দি জর্জি (৩১) ৭৩ রানের ভরসা জাগানো ওপেনিং জুটি উপহার দেন। তবে দুজন ফিরে যাওয়ার পরেই বিপর্যয় শুরু রেজা হেন্ড্রিক্স এবং আইডেন মারক্রাম ফেরার পর ২৪ ওভারের মধ্যে ১০৩/৪ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রশিদ খান এবং খারোটের ঘূর্ণিতে শেষমেশ দক্ষিণ আফ্রিকা শুয়ে পড়ে।