Afghan refugee breakdancer Manizha Talash: আফগান শরণার্থী মানিজহা তালালকে গেমস থেকে বহিষ্কার করল অলিম্পিক কমিটি। শরণার্থী দলের হয়ে ব্রেক ড্যান্স বিভাগে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল মানিজহা। সেই সময়েই তাঁর স্কার্ফ-এ লেখা ছিল, "আফগান মহিলাদের মুক্তি দিন।" তারপরেই শুক্রবার প্রি-কোয়ালিফায়ার ইভেন্ট থেকে বাতিল করা হয় মানিজহাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অলিম্পিকের মঞ্চে রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করেছেন।
২১ বছরের তরুণী বর্তমানে থাকেন স্পেনে। ইভেন্টে তিনি হাজির হয়েছিলেন মাথায় হালকা নীল-রঙা কেপ চাপিয়ে। যে কেপ-এ বড় বড় করে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল, আফগান মহিলাদের মুক্তির দাবি। তারপরেই বিশ্ব ড্যান্সব্রেক কর্তৃপক্ষ-এর তরফে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, "বাতিল করা হয়েছে নিজের পোশাকে রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করার জন্য।"
২০২১-এর অগাস্টে ক্ষমতায় আসার পর তালিবান সরকার দেশ জুড়ে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মহিলাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পার্ক এবং জিমে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তালিবানি সরকার নিজেদের সপক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে বলে দিয়েছিল, শরিয়ত আইন অনুযায়ী মহিলাদের যেটুকু অধিকার দেওয়া উচিত, সেটাই করা হয়েছে।
আইওসি স্বীকৃত আফগানিস্তানের অলিম্পিক কমিটির সচিব এবং প্রধান দুজনেই আপাতত নির্বাসনে রয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার অলিম্পিকেএ মত মঞ্চে শরণার্থী দল অংশ নিয়েছে। এই শরণার্থী দলের মধ্যে তিন আফগান পুরুষ এবং মহিলা-ও রয়েছেন।
ব্রেকড্যান্সিংয়ে কোন বিষয় বিবেচ্য হয়
মঞ্চে উপস্থিতি, ফর্ম, ভঙ্গি, আচার-ব্যবহার-এর মত প্যারামিটার খতিয়ে দেখা হয় পারফম্যান্সের সময়। শারীরিক এবং মানসিক কন্ডিশন তো বটেই, এছাড়া ধৈর্য, নির্ভুলতা, শক্তি, গতি এবং নিয়ন্ত্রণ যাচাই করা হয়। যদি দুজন প্রতিযোগী একই রকম ভঙ্গিমায় স্থির থাকেন, তাহলে কে বেশিক্ষণ স্থির এবং নিখুঁত থাকবেন, তা তুলনা করে দেখা হয়।