ফিফার তরফে নির্বাসন বোধহয় আটকানো গেল না ভারতীয় ফুটবলকে। ফেডারেশনের কমার্শিয়াল পার্টনার এফডিএসএল কর্তৃপক্ষ এবার সরাসরি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হল।
আইলিগ নাকি আইএসএল দেশের শীর্ষ লিগ হতে চলেছে কোনটা, এপেক্স কোর্টে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৃথক পৃথকভাবে স্থিরতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে একাধিক রাজ্য ফুটবল সংস্থা এবং এফডিএসএলের তরফে। সেই আবেদন পত্রে কার্যত সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ এডমিনিষ্ট্রেটরের প্রতি বিষদগার করে বলা হয়েছে, তাদের কোনও মতামতই ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না এসওয়াই কুরেশিরা। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টিভেন জেরার্ডের প্রিয় শিষ্যকে তুলে চমক মুম্বইয়ের! ঝড় উঠবে ISL-এ
গত মাসে ভারতের ফুটবল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এএফসি এবং ফিফার প্রতিনিধি দল এসেছিল। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেডারেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ফিফার তরফে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছিল ফেডারেশনের দ্বারাই পরিচালিত হতে হবে দেশের ফুটবল লিগ। থাকতে হবে প্রমোশন এবং রেলিগেশনও।
এরপরেই সিওএ-র তরফে আইএসএলকে সরিয়ে আইলিগকে সেরা লিগ করার খসড়া তৈরি করা হয়। যা এখনও সুপ্রিমকোর্টের অনুমোদন পায়নি। ঘটনাচক্রে, ২০১৯-এ এএফসির লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে আইএসএল।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল ডাকল না! অনেক অপেক্ষার পরে স্পেনের ক্লাবকে ‘হ্যাঁ’ বললেন সোটা
এফডিএসএলের সঙ্গেই সিইও-র চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে সাত সদস্যের রাজ্যের ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি দল। তাঁদের তরফে ফিফাকে জানানো হয়েছে এই ড্রাফট অনৈতিক।
সিওএ এবং রাজ্য ফুটবল সংস্থাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় অবশ্য আইলিগকেই শীর্ষ লিগের মর্যাদা চেয়ে দরবার করেছেন গোয়া। কারণ গোয়ার প্ৰতিনিধি আলেমাও চার্চিল নিজের চার্চিল ক্লাবের কর্ণধার। তবে অন্যান্য রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা তা মানতে চায়নি।
এফডিএসএল এবং রাজ্য ফুটবল সংস্থার তরফে সিওএ-র ড্রাফটের ২০-টি পয়েন্ট নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। এমন জটিল অবস্থায় ফিফার তরফে নির্বাসনের কবলে পড়তে পারে ফেডারেশন। আইএসএল পরিচালনার জন্য লাইসেন্সিং বাবদ ফেডারেশনকে বার্ষিক ৫৫ কোটি টাকা দেয় এফডিএসএল।