বেঁকে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল। সঙ্গ দিয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি। সরাসরি ফেডারেশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে লাল-হলুদ শিবিরের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য ফুটবলার ছাড়া যাবে না। ইস্টবেঙ্গল সহ একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা ভেবেই এবার পিছু হটল ফেডারেশন। ক্লাবগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একসপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে জাতীয় শিবির।
চিনের ডালিয়ানে অনুর্দ্ধ-২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড খেলা হবে সেপ্টেম্বর ৬-১২ পর্যন্ত। সেই টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে ভুবনেশ্বরে প্রাক-টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি ক্যাম্প বসার কথা ছিল অগাস্টের ১২ তারিখ থেকে। আপাতত সেই ক্যাম্প শুরু হচ্ছে অগাস্টের ২০ তারিখ থেকে।
ফেডারেশনের সচিব শাজি প্রভাকরণ সমস্ত ক্লাবগুলিকে চিঠিতে লিখেছেন, "চলতি ডুরান্ড কাপের জন্য এবং আইএসএল-এর একাধিক ক্লাবের প্রতিক্রিয়া জানার পর আমরা অনুর্দ্ধ-২৩ জাতীয় দলের শিবির ২০ অগাস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দিলাম। স্কোয়াড অবশ্য একই থাকছে।"
যুব দলের দায়িত্ব থাকছে ক্লিফোর্ড মিরান্দার হাতে। সেই সময়ে হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ কিংস কাপে ব্যস্ত থাকবেন থাইল্যান্ডে। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবিরের পর ভারতীয় দল চিনে উড়ে যাবে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ভারতকে মোকাবিলা করতে হবে চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং মালদ্বীপের।
তবে ঘরোয়া ফুটবলের ঠাসা ক্রীড়াসূচিতে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, আইএসএল ক্লাবগুলো। ডুরান্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। ডুরান্ড শেষ হয়ে গেলেই আইএসএল-এর দামামা বেজে যাবে। মোহনবাগান আবার এর মধ্যেই এএফসি কাপ খেলবে। মুম্বই সিটি আবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেবে। এমন অবস্থায় সমস্ত দলের মনোভাব কমবেশি একই রকমের।
এমনিতে ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে জাতীয় দলের ফুটবলার ছাড়া বাধ্যতামূলক। তবে এশিয়ান গেমস এবং এএফসি কাপ কোয়ালিফায়ার এই উইন্ডোর বাইরে। সেই ‘ফাঁক’ পেয়েই এবার ফুটবলার ছাড়তে গড়িমসি করছে ক্লাবগুলো।
সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল সহ আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যে নৈতিক জয় হল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।