২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতে। এর আগে ফিফা-র আয়োজিত এত বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের বরাত পায়নি ফুটবলপাগল দেশ। শহরবাসী নয়ারূপে সজ্জিত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়াম দেখে চমকে গিয়েছিল। ফুটবলের মেগা কার্নিভালে মেতেছিল তিলোত্তমা। ফের একবার সিটি অফ জয় দেখতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। তাও আবার তিন বছরের মধ্যেই।
আগামী বছর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পরিচালনায় আরও একটি হেভিওয়েট টুর্নামেন্ট হচ্ছে এই দেশে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী মহিলাদের যুব বিশ্বকাপের জন্য চারটি শহরকে বেছে নিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। তার মধ্যেই রয়েছে দিল্লি (জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, দর্শক সংখ্যা-৪১,৭০০), মুম্বই (ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম, দর্শক সংখ্যা-৫৫,০০০), কলকাতা (সল্টলেক স্টেডিয়াম, দর্শক সংখ্যা-৬৬,৬০০ ) ও ভুবনেশ্বর (কলিঙ্গ স্টেডিয়াম, দর্শক সংখ্যা-১৫,০০০)। ১৬ দলীয় খেলায় এই চারটি ভেন্যুই চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই রিপোর্ট দ্য ফ্রি পেস জার্নালের। যদিও ভারতের আরও দুই ফুটবল পাগল শহর গোয়া এবং কেরল ব্রাত্যই থাকছে এই টুর্নামেন্টে।
আরও পড়ুন: শহরের চেনা বিদেশিকেই কোচ করার পথে মোহনবাগান, কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত
২০১৭ সালে অত্যন্ত সফল ভাবে অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য ফিফার গুডবুকে চলে এসেছিল ভারত। প্রশংসা কুড়িয়েছিল কলকাতাও। ফলে এই বায়োডেটার জন্যই ফের একবার ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ দিয়েছে ফিফা।
বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদেরকে তুলে ধরার জন্য দেশের মেয়েদের সামনে একটা অসাধারণ সুযোগ আসতে চলেছে। ২০০৮ এবং ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়া মহিলাদের যুব বিশ্বকাপ পেয়েছিল। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যথাক্রমে ২০১৪ ও ২০১০ সালে এই টুর্নামেন্ট জেতে। এই তিন দেশই এশিয়া মহাদেশের নাম উজ্জবল করেছিল বিশ্বের দরবারে। ২০১৮ সালে স্পেন মহিলাদের যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল। খেতাব ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে তারা।