করোনা পরিস্থিতিতে আইএসএল এবং আইলিগে বিদেশি ফুটবলারের কোটা কমানোর দাবি উঠেছিল আগেই। সেই বিষয় নিয়েই শুক্রবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন বৈঠকে বসতে চলেছে।
ভারতীয় এক ক্লাবের এক কর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, “শুক্রবার এআইএফএফ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে। সেখানেই হয়ত ওরা প্লেয়ার কোটা নিয়ে আলোচনা সারবে।”
ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মরশুমে একটি ক্লাব সর্বাধিক ৭জন বিদেশিকে নথিভুক্ত করতে পারত। এর মধ্যে প্রথম একাদশে পাঁচজনকে খেলানো সম্ভব।
তবে এই মরশুম থেকে এমনিতেই এই বিদেশি খেলানোর নিয়মে বদল এসেছে। এএফসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৪ জনের বেশি বিদেশি কোনো ক্লাব প্রথম একাদশে রাখতে পারবে না। চার জনের মধ্যে একজনকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশ বাদে এশিয়ান কোনো দেশের ফুটবলার হতে হবে।
এই ৩+১ নিয়ম স্থানীয় ফুটবলারদের আরো বেশি সুযোগ পাওয়ার জন্য চালু করেছে এএফসি। পাশাপাশি ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকান ফুটবলারদের সঙ্গে এশিয়ান ফুটবলারদের এই মহাদেশের মধ্যেই ট্রান্সফারে জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ।
এটিকে চলতি মরশুমের জন্য ইতিমধ্যেই সাত ফুটবলারকে নথিভুক্ত করে ফেলেছে। এফসি গোয়া আবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হিসাবে খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে। শুধু গোয়া কিংবা কলকাতা নয়, আইএসএল এর বেঙ্গালুরু, জামশেদপুর, কেরালা ব্লাস্টার্স প্রত্যেককেই নতুন করে বিদেশি চয়ন করতে হবে এই নিয়ম প্রযোজ্য হলে। এএফসি-র সদস্যভুক্ত দেশের ফুটবলারের কোটায় নতুন করে বিদেশি রিক্রুট করতে হতে পারে। তাই ফেডারেশন এএফসির নিয়ম কার্যকর করলে তার বিরোধিতা করতে পারে অধিকাংশ আইএসএল দল।
গত মরশুমে এএফসি ফুটবলারের কোটায় মাত্র তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলার নিয়েছিল- বেঙ্গালুরু এফসি (এরিক পার্তালু, অস্ট্রেলিয়া), এটিকে (ডেভিড উইলিয়ামস, অস্ট্রেলিয়া) এবং চেন্নায়ইন এফসির মাসি সাইঘানি (আফগানিস্তান)।