সমস্যা এড়াতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে আইপিএল খেলতে অঅবিধা নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন, অজিঙ্কা রাহানে। আইপিএল নিয়ে সংশয় সর্বত্র। টুর্নামেন্ট আয়োজন না করা হলে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতীয় বোর্ড।
এমন অবস্থায় দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক রাহানে জানিয়ে দিলেন, "করোনা সংক্রমণ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে, অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই যা করছি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আমাদের যা আছে তার মূল্য বুঝতে হবে। আইপিএল ও অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্টে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা যেতেই পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে শূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয় আমাদের। সেই অভিজ্ঞতা সকলেরই রয়েছে।"
দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষ থেকে লাইভ ইনস্টাগ্রাম চ্যাটের আয়োজন করা হয়েছিল রাহানেকে নিয়ে। সেখানেই তারকা ক্রিকেটার আরো বলেন, "দর্শকদের ছাড়া আমরা কিছুই নই। সেই কারণেই ওদের নিরাপত্তা আগে প্রয়োজন। ঘরে বসেই যদি ওরা লাইন একশন দেখতে পায়, আশা করি সেটাও অনেক উত্তেজক হবে। দর্শকদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। সেজন্য যদি আমাদের ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হয়। সেটাই করতে হবে।"
লকডাউনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন, তা জানাতে গিয়ে রাহানে বলেছেন, "যতটা সম্ভব পজিটিভ থাকার চেষ্টা করে চলেছি। বাড়িতে মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছি। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত রাখার সুযোগ এসেছে। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করছি রান্নাবান্না ও পরিষ্কারের ওকে সাহায্য করতে পারি কিনা! বাচ্চা বেলায় ক্যারাটে শিখেছিলাম। এই অবসরে সেই শিক্ষা ঝালিয়ে নিচ্ছি। এটা আমার ফিটনেস ধরে রাখতেও সাহায্য করছে।"
রাজস্থান রয়্যালস ছেড়ে দেওয়ার পর নিলামের আগে জাতীয় দলের এই তারকাকে নেয় দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রসঙ্গে রাহানে বলেছেন, "শিখর, ইশান্ত, শ্রেয়সের কাছ থেকে দলের পরিবেশ নিয়ে অনেক শুনেছি। এটা অনেকটা বড় পরিবারের মত যেখানে একে অন্যকে সাহায্য করে সবসময়। অন্যের সাফল্যও উপভোগ করে।"
রিকি পন্টিংয়ের কোচিংয়ে খেলার জন্যও মুখিয়ে রাহানে। তিনি জানিয়েছেন, "রাহুল ও শচীন স্যারকে দেখে বড় হয়ে উঠেছি। তবে রিকি পন্টিংকেও ফলো করতাম। ওঁর ব্যাটিং ও ফিল্ডিং কপি করার চেষ্টা করতাম। ওর কোচিংয়ে আমার ব্যাটিং তো বটেই নেতৃত্বের বিষয়েও অনেককিছু জানতে পারব। "
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ২ মিলিয়নের বেশি লোক আক্রান্ত এই ভাইরাসের কবলে। প্রায় মৃত্যুর সংখ্যা লাখেরও বেশি। গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ছড়ানোর আগে ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করার পরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয় টুর্নামেন্ট। এরপর আরও একদফা লকডাউন ঘোষণা করতেই বিসিসিআই অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইপিএল স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে আবার অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় উইন্ডোতে দু-একটি করে আইপিএল খেলানোর পক্ষপাতী, টি২০ বিশ্বকাপের আগে।
আইপিএল নিয়ে বোর্ড কর্তারা এখন কী সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।