ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররাই শুধু বিদেশে বর্ণবৈষম্যের শিকার হননি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এমনই করুণ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এবার আকাশ চোপড়া। তিনি জানিয়ে দিলেন, ইংল্যান্ডে কাউন্টিতে খেলার সময় কীভাবে বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
২০০৭ সাল নাগাদ আকাশ চোপড়া মেরিলিবর্ন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতেন। সেখানেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'পাকি' বলা হত। ইংরেজি ভাষার শ্বেতাঙ্গদের দেশে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ানদের সঙ্গে এভাবেই বিদ্বেষ-মূলক গালাগালি দেওয়া হত।
আকাশ চোপড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পুরোনো অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, "ক্রিকেটাররা কখনো না কখনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হই। আমার মনে আছে আমি যখন ইংল্যান্ডে খেলতাম তখন প্রতিপক্ষ দলে দুজন দক্ষিণ আফ্রিকান ছিল, যারা সবসময় আমার উপর চড়াও হত। এমনকি আমি যখন নন স্ট্রাইকিং এন্ড এ থাকতাম, তখনও ওরা আমাকে ছাড়ত না। ওঁরা আমাকে ক্রমাগত 'পাকি' বলত। অনেকেই হয়ত ভাববেন পাকি আসলে পাকিস্তানিদের ছোট করে ডাকা হয়। ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। বাদামি বর্ণের, উপমহাদেশের কেউ হলে ওরা তাদের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করার সময় এই শব্দ ব্যবহার করত।"
সেই ঘটনার সময় তাঁর ইংল্যান্ডের ক্লাব তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিল। তবে তিনি যে সেই অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারেননি তা সাফ জানাচ্ছেন তিনি, "কেউই পাকি শুনতে পছন্দ করবে না। ইংল্যান্ডে যদি কেউ আমাদের পাকি বলে, তাঁর উদ্দেশ্যে নিয়ে কার্যত প্রশ্নের অবকাশ থাকে না। আমার ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছিল। দল আমার পাশে দাঁড়ায়, তবে আমার সামনের ব্যক্তি এটা করেছিল।"
দেশের জার্সিতে ১০টি টেস্ট খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার আরো বলেছেন, "কারোর গায়ের চামড়া সাদা হলেও এমনটা হয়ে থাকে। ওরাও যখন আমাদের দেশে আসেন, একই ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয় ওদের।"
এই প্রসঙ্গে এন্ড্রু সাইমন্ডসের কুখ্যাত 'মাঙ্কি' পর্বের কথাও জানান তিনি। আকাশ চোপড়া বলছিলেন, "এন্ড্রু সাইমন্ডস যখন এদেশে খেলতে এসেছিল, তখন ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে মাঙ্কি আওয়াজ উঠেছিল। তখনই দর্শকরা কার্যত জানিয়ে দিয়েছিল, তুমি এদেশে স্বাগত নও!"
মার্কিন প্রদেশে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে গোটা দুনিয়া গর্জে উঠেছে। ক্রিস গেইলের পর মুখ খুলেছেন ড্যারেন স্যামিও। তিনি আইপিএলের স্মৃতি টেনে জানিয়েছেন, কীভাবে ভারতে খেলতে এসে 'কালু' বলা হত তাঁকে।