রবিবাসরীয় যুবভারতী মরসুমের প্রথম ডার্বি গোলশূন্য ভাবেই শেষ হল। ম্যাচের শুরুতেই দু'টো খটকা উদ্রেক হয়েছিল ম্যাচের প্রথম একাদশ দেখার পর। বড় ম্যাচে ইস্ট-মোহনের দুই সুপারস্টারের অনুপস্থিতি।
ইস্ট কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের রিজার্ভে রেখেছিলেন স্প্যানিশ তারকা খাইমে কোলোডোকে। অন্যদিকে কিবু ভিকুনা দলেই রাখেননি গোলের মধ্যে থাকা সালভা চামোরোকে। কিন্তু কেন? ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন দু'টোই রাখা হলো দুই স্প্যানিশ কোচের কাছে।
কোলাডোকে নিয়ে আলেয়ান্দ্রোর সাফ জবাব, "দেখুন তিন বিদেশির বেশি খেলানো সম্ভব নয়। আর একটা দলে এগারো জনকে নিয়েই খেলতে হয়। সবাই খেলানো যায় না। মার্টি-আইদারা-মার্কোসকে নিয়েই দল তৈরির কথা মাথায় রেখেছিলাম। শুরুতে কোলাডো-বিদ্যাসাগরকে খেলানোর কথা ভাবিনি। ওদের পরে নামিয়ে ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করেছিলাম। পারিনি। দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। দলটা উন্নতি করছে রোজ। আমার মতে ম্যাচের সেরা কমলপ্রীত।"
আরও পড়ুন রবিবারের ডার্বি নিষ্ফলা! তবু ভিকুনার তিকিতাকা মন কাড়ল
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের আধিপত্যের কথা মুখে না বললেও, তাঁর কথায় প্রকাশিত। আলেয়ান্দ্রো বললেন, তাঁরা আজ দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম কুড়ি মিনিট ভাল খেলেছেন। আর দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই বলেও মত তাঁর। জানিয়ে দিলেন পিন্টু মাহাতো এখন চোট সারিয়ে ফিট হওয়ার পথে।
চামোরোর প্রসঙ্গে ভিকুনার বক্তব্য, "দেখুন সালভা অনেক ম্যাচ খেলেছে। অন্যদেরও সুযোগ দিতে হবে। আজ মনে হয়েছিল চামোরোকে ছাড়াই দল করব।"
আরও পড়ুন ‘স্প্যানিশ ডার্বি’তে মাঝমাঠে লুকিয়ে জেতার চাবিকাঠি
ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান: ফিরে দেখা স্মরণীয় পাঁচ ডার্বি
এদিন ভিপি সুহের জোড়া গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। কিন্তু কোচ তাঁর পাশেই। ভিকুনার সংযোজন, "এটা ঠিক যে ও দু'টো গোল আজ করতে পারেনি। কিন্তু ভাল খেলেছে গোটা ম্যাচেই। মনে রাখবেন, ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ও দু'গোল করেছিল। ও যথেষ্ট ভাল প্লেয়ার। ওকে আরও একটু ট্যাকটিকাল হতে হবে। খেলাটা ভালই বোঝে। ও কিন্তু আজ ইস্টবেঙ্গলের দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছিল।"
ভিকুনা আরও বলেছেন, তাঁর দল আজ ভালই খেলেছে। কঠিন ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। আশা করেছিলেন, ১-০ গোলে জিতবে মোহনবাগান। কিন্তু তা হয়নি। তবে তাঁর প্রাপ্তি একটাই, বাগানের খেলার স্টাইল লাল-হলুদ ধরতে পারেনি। ভিকুনা জীবনের প্রথম কলকাতা ডার্বি খেলাতে পেরে মোহিত। তাঁর মতে এই পরিবেশটা তিনি ভুলতে পারবেন না। ইস্ট-মোহনের সমর্থন দেখে তিনি চমকে গেছেন।