হায়দরাবাদ ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন আম্বাতি রায়ডু। জানিয়ে দিলেন স্বচ্ছ ক্রিকেট প্রশাসন প্রয়োজন। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও-কে আবেদন করলেন যাতে হায়দরাবাদ ক্রিকেটে চালু ব্যাপক দুর্নীতি থামানোর জন্য তিনি নজর দেন।
হায়দরাবাদের জার্সিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার পরে সাময়িক বিশ্রামে ছিলেন। শুক্রবার রায়ডু জানিয়েছিলেন, তিনি কয়েকসপ্তাহ বিশ্রাম নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে। শনিবারেই টুইটারে রায়ডু মন্ত্রীকে সম্বোধন করে লেখেন, "আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, হায়দরাবাদে যে ব্যাপক ক্রিকেট দুর্নীতি চালু রয়েছে, তা আপনি দেখুন। হায়দরাবাদ কীভাবে মহৎ জায়গায় পৌঁছবে, যেখানে বিত্তশালী, দুর্নীতিপ্রবণ ব্যক্তিরা ক্রিকেট দল প্রভাবিত করে? যাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।"
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই মহম্মদ আজাহারউদ্দিন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিশ্বকাপের সময়ে প্রাথমিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আম্বাতি রায়ডুকে। বদলে নেওয়া হয়েছিল বিজয়শঙ্করকে। অম্বাতি রায়ডুকে পরে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হলেও, ধাওয়ান চোট পাওয়ার পরে পন্থকে রাতারাতি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিমানে অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন রায়ডু। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পরে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে থ্রি-ডি গ্লাস টুইটে কটাক্ষও করেছিলেন।
হায়দরাবাদের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করার পরে রায়ডু বিজয় হাজারে ট্রফিতে অংশ নিয়েছিলেন। হায়দরাবাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরারও হয়েছেন। ৭ ম্যাচ খেলে রায়ডুর সংগ্রহে ২৩৩ রান। গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছে, আগামী আইপিএলে রায়ডু সিএসকে-তেই খেলবেন। তাঁকে রিটেন করেছে ধোনির দল।
জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০টি ওয়ান ডে ম্যাচে অংশ নিয়ে ৪৭.০৫ গড়ে ১৬৯৪ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে তিনটে শতরান সহ ১০টা অর্ধশতরানও করেছেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH