ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিততেই টুইটের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। বাদ যাননি সাধারণ থেকে সেলেব। সেলিব্রেশনের জোয়ারে ভাসছিল টুইটার। সেই জোয়ারে গা ভাসিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনও। দেশঁদের হাতে ট্রফি ওঠার বিগ-বি লিখেছিলেন, "টি ২৮৬৮, আফ্রিকা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ২০১৮"। আর বিগ-বি’র এই টুইটে উঠল বিতর্কের ঝড়। শাহেনশাহকে বর্ণবিদ্বেষী বলতেও ছাড়লেন না অনেকে।
বিগ-বি ফ্রান্স না-বলে আফ্রিকা বলার পিছনে একটা কারণ রয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স স্কোয়াডের ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনই অভিবাসী। তাদের পরিবার বা পূর্বপুরুষরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকেই এসেছেন ফ্রান্সে। অতীতে তাঁরা ক্যামেরুন, মরক্কো, অ্যাঙ্গোলার অধিবাসী ছিলেন। বর্তমানে তারা ফ্রান্সের নাগরিক। স্যামুয়েল উমতিতি, পল পোগবা, এনগোলো কান্তে, কিলিয়ান এমবাপে, উসমান ডেম্বেল ও বেইস মাতুইদির মতো অভিবাসী খেলোয়াড়রা ছিলেন ফ্রান্স দলে।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018 Final: ২০ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স
বিগ-বি একাধারে যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনই আবার অনেকে সমর্থনও করেছন তাঁর মন্তব্যকে। তাঁদের মতে সিনিয়র বচ্চনের এই টুইটের একটা অন্যদিক রয়েছে। যা রীতিমতো প্রাসঙ্গিক। তাঁরা বলছেন, বচ্চন বোঝাতে চেয়েছেন যে, অধিকাংশ অভিবাসী খেলোয়াড়ের পরিবার বা পূর্বপুরুষ জীবনের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য ফ্রান্সকে বেছে নিয়েছিলেন। ফ্রান্স তাদের নাগরিকত্বসহ যাবতীয় সব সুযোগ সুবিধা দিয়েই আপন করে নিয়েছে। ফলে তারা ফ্রান্সের জন্য এভাবে একাত্ম হয়ে খেলতে পেরেছেন।
ফ্রান্সের অভিবাসী বিতর্ক আজকের নয়, ২০ বছর আগের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের সঙ্গেও ছিল। জিনেদিন জিদান ও লিলিয়ান থুরামদেরও অভিবাসী ইতিহাস রয়েছে। তাঁদেরকেও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে বহুবার। এই জয়ের ফ্রান্সকে ‘রেনবো টিম’ বলা হয়েছে। বিগ বি কিন্তু আপাদমস্তক একজন ব্রাজিল ভক্ত। প্রায় প্রতিটি খেলারই খোঁজ খবর রাখেন তিনি। টুইট করেন নিয়মিত। রাশিয়াতেও অভিষেক বচ্চন ও আম্বানি পরিবারের সঙ্গে মাঠে গিয়েছিলেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গে বসে দেখেছিলেন ফ্রান্স-বেলজিয়াম সেমি ফাইনাল
ম্যাচ।