দুনিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তিনি। টি২০ ক্রিকেটে বিশ্বের বোলারদের ত্রাস। সেই তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল জানিয়ে দিলেন, তিনি মহিলাদের কাছে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় দেখাতে চান। সেই কারণে, হাঁটুর চোট অগ্রাহ্য করে গিয়েছেন।
একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আমন্ত্রণে সম্প্রতি দুবাইয়ে গিয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। সেখানে সেভেন স্টেডিয়ামে উঠতি ক্রিকেটারদের টিপসও দিয়ে যান তিনি। সেখানেই পরামর্শ দেওয়ার ফাঁকে উঠে আসে বহু অজানা অধ্যায়।
আরও পড়ুন সাত বছরের সম্পর্ক শেষ, স্ত্রী-র সঙ্গে বিচ্ছেদ মহাতারকার
রাসেল বলেন, "যারা আরও একটা রাসেল হয়ে উঠতে চাও, তাদের বলছি আমার যা হয়েছে, সেরকম মোটেও করো না। যখন আমার ২৩-২৪ বছর বয়স ছিল সেই সময় নিয়মিত আমার হাঁটুতে ব্যথা হত। সেই সময় যদি আমাকে কেউ পরামর্শ দিত, রাসেল, এই ব্যায়ামগুলো করলে তোমার পা আরও শক্তিশালী হবে।"
সেই কথা শোনেননি তিনি। তা জানিয়ে রাসেল বলেছেন, "সেই পরামর্শ মানলে আমার পায়ে ব্যথা দূর হয়ে যেত। আমাকে হয়তো অস্ত্রোপচার করতে হত না। কিন্তু ২৩ বছরে আমি অনেকটাই ভয়ডরহীন ছিলাম। পায়ের ব্যথা একদমই গ্রাহ্য করিনি। পেনকিলার খেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটতাম।"
তবে সিনিয়রদের সেই পরামর্শ না শুনে যে কী ভুল করেছিলেন, তা রাসেল জানিয়েছেন, "কুড়ির কোটার শেষের দিকে পৌঁছে পায়ে এমন অসম্ভব যন্ত্রণা হত। পায়ে পেশির সমস্যাও দেখা দিত। যদি আমি অন্যের কথা মেনে স্ট্রেংথনিং এক্সসারসাইজ করতাম, তাহলে আজ অনেক ফিট থাকতে পারতাম।"
আরও পড়ুন সানিয়ার বোন, আজাহারের বউমা! বিয়ের দু-মাস কেমন কাটালেন রূপসী কন্যে
রাসেল এখানেই না থেমে আরও বলেছেন, "তরুণ ক্রিকেটারদের আরও বলতে চাই, দেহের উপরিভাগের কথা ভেবে নিম্নাংশের অযত্ন কোরো না। আমিও জিমে গিয়ে অ্যাবস, কাঁধের পেশি তৈরি করতাম। কারণ মেয়েদের কাছে আরও আকর্ষনীয় ভাবে নিজেকে উপস্থিত করতে চাইতাম সবসময়। দিনের শেষে আমি আকর্ষনীয় হলেও পা দুর্বল থাকত। তাই গোটা শরীরের ব্যয়াম করা উচিত। যদি আমার পা নিয়ে আরও খাটতাম, তাহলে আরও খেল দেখাতে পারতাম।"
তবে তিনি ব্যাট হাতে নামলে এখনও যে ব্যাটে আগুন ঝড়াতে পারেন, তা জানিয়েছেন। বলেছেন, "হাঁটুর চোটের কারণে ক্রিজে ব্যাট করতে নেমে নিজের মতো খেলতে পারি না। তবে এখনও দাঁড়িয়ে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাকাতে পারি।"
সামনের মাসেই আইপিএল শুরু হয়ে যাচ্ছে। কেকেআরের জার্সিতে 'দুর্বল পা' নিয়েই তিনি কী ম্যাজিক দেখান, তা দেখার জন্য সমর্থকরা অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষায়।
Read the full article in ENGLISH