Andre Russell on Rinbago Knight Riders CPL Controversial Eliminator: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এলিমিনেটর ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স এবং বার্বাডোজ রয়্যালস। সেই ম্যাচেই দূর্ভাগ্যজনকভাবে বিদায় নিতে হয় নাইট রাইডার্সকে। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট হঠাৎ বিকল হয়ে পড়েছিল। এর পরেই খেলা বন্ধ এবং তারপরই শেষ মুহূর্তে ডিআরএস নিয়মে অন্যায়ভাবে বার্বাডোজ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাসেল সহ নাইটদের বাকি টিম মেম্বাররা। ম্যাচে চালকের আসনে ছিল নাইট রাইডার্সই। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে স্কোরবোর্ডে ১৬৮/৩ তুলে ফেলে রাসেলদের দল। নিকোলাস পুরান দুর্ধর্ষ ৯১ করে দিয়েছিলেন। পরে জেসন রয় এবং আন্দ্রে রাসেলই ব্যাট হাতে অবদান রাখেন।
তারপরেই বৈদ্যুতিক বিভ্রাটে খেলা বন্ধ হয়ে যায় সাময়িকভাবে। এরপরে খেলা চালু হলেও ডিআরএস নিয়মে বার্বাডোজের কাছে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬০ রান। বার্বাডোজের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে এই লক্ষ্যে আটকাতে পারেনি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বোলাররা।
খেলা বন্ধ করা হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন ক্যারিবিয়ান তারকা। সুনীল নারিন এবং ক্রিস জর্ডন যথাক্রমে কুইন্টন ডিকক এবং রভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ডেভিড মিলার ঝড় তুলে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন। বার্বাডোজ ফ্র্যাঞ্চাইজি ৮ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
আর কোয়ালিফায়ার রাউন্ড থেকে ছিটকে গেলেও রাসেল সরাসরি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। কেন ম্যাচ পুরোপুরি বাতিল না করে সহজবোধ্য টার্গেট দেওয়া হল বার্বাডোজকে তা নিয়েই প্ৰশ্ন তুলে দিয়েছেন টিকেআর প্লেয়াররা।
গনগনে ভাষায় একাধিক অপশব্দ প্রয়োগে রাসেল ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম স্টেস্টাসে। বলেছেন, "আমি সাধারণত নেট মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকি। তবে এবার সিপিএল পুরোপুরি ডাকাতি করে আমাদের হারানো হল। ঠিক কাট অফ টাইমের আগেই ফ্লাডলাইট ফিরে এল। তারপর ৩০ বলে ৬০ রানের টার্গেট দেওয়া হল ওঁদের। হ্যাঁ, আন্দ্রে রাসেল সঠিক কে সঠিক বলতে দ্বিধা করে না।"