ডেথ ওভারে টি টোয়েন্টিতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে ম্যাচ নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসার বিষয়ে জুড়ি মেলা ভার আন্দ্রে রাসেলের। দেশের জার্সিতে হোক বা কেকেআরের হয়ে খেলার সময় অসংখ্যবার দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। আইপিএলে কেকেআরের শেষ মুহূর্তের বাজি তিনি। দল ভরসা করে থাকে রাসেলের চওড়া ব্যাটের উপর।
সেই রাসেলই এবার কেকেআরের নাইট আনপ্লাগড এ এসে জানিয়ে দেন, আরসিবি র বিরুদ্ধে তাঁর বিধ্বংসী ১৩ বলে ৪৮ রানের পিছনের রহস্য। রাসেল জানিয়েছেন, দীনেশ কার্তিককে আউট করে বিরাট কোহলির সেলিব্রেশন দেখেই মাথায় রক্ত চড়ে যায় তাঁর।
সেই ভিডিওতে রাসেল জানিয়েছেন, "দীনেশ কার্তিক একটা অথবা দুটো বাউন্ডারি হাঁকানোর পর আউট হয়ে যায়। ও বল হিট করলেও সম্ভবত কোহলি ক্যাচ নেয়। ক্যাচ নিয়েই কোহলি ভেনকি মাইসর, কেকেআর ক্রিকেটারদের স্ত্রী এবং সমর্থকরা যেখানে বসে ছিল সেদিকে তাকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। তা দেখেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। নিজেকে বলতে থাকি, খেলা এখনও শেষ হয়নি।"
জয়ের জন্য কেকেআরের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৫৩ রান। নভদীপ সাইনি কার্তিককে আউট করে। রাসেল সেই সময় ক্রিজে আসে। একটাও বল ফেস করার আগেই রাসেল ক্রিজে থাকা শুভমান গিলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন।
রাসেল বলছিলেন, "যখন শুভমান গিল আমার কাছে এগিয়ে এসেছিল ওকে সাফ জানাই যেই বোলিং করুক না কেন, আজ ওড়াবো। যেই বোলিং করুক কাউকে ছাড়া হবে না। তাই যতটা সম্ভব আমাকে স্ট্রাইক দিস। ও জবাব দেয়, তুমি যা বলবে তাই হবে বিগ ম্যান। বুম! এর পরে ছক্কার বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আমি বলি হিট করলেই মাঠের বাইরে পড়ছিল। আমি হিট করার পর স্কোরবোর্ডের দিকেও তাকাচ্ছিলাম না। কারণ কখনও কখনও ফোকাস থেকে খেলা সরে যায়।"
শুভমান গিল ও রাসেল দুজনে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। সেই জুটিতে শুভমান করেছিলেন মাত্র ৩ বলে ৩ রান। আর ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন রাসেল।
সেই ম্যাচের প্রসঙ্গে রাসেল আরো জানিয়েছেন, "প্রতিটা ছক্কা হাঁকানোর পর শুভমানের কাছে যাচ্ছিলাম। পাঞ্চ করছিলাম। একটা গভীর শ্বাস নিচ্ছিলাম। যাতে যতটা শান্ত থাকতে পারি। চারিপাশে তাকানোটা এনার্জি নষ্ট করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল।"