Advertisment

‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায়ের পরেই প্রচণ্ড মদ্যপ হয়ে উঠি: অ্যান্ড্রিউ সাইমন্ডস

আর কয়েকদিন পরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে উড়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার আগেই ফের উঠে এল ১০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা। ক্রিকেট ইতিহাসে ২০০৮ সালের ইন্দো-অজি দ্বন্দ্ব কুখ্যাত হয়ে থাকবে ‘মাঙ্কিগেট’ এপিসোডের জন্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Monkeygate

‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায়ের পরেই প্রচণ্ড মদ্যপ হয়ে উঠি: অ্যান্ড্রিউ সাইমন্ডস (ছবি টুইটার)

আর কয়েকদিন পরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে উড়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার আগেই ফের উঠে এল ১০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা। ক্রিকেট ইতিহাসে ২০০৮ সালের ইন্দো-অজি দ্বন্দ্ব কুখ্যাত হয়ে থাকবে ‘মাঙ্কিগেট’ এপিসোডের জন্য। সেবার সিডনি টেস্টে ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং  ‘মাঙ্কি’(বাঁদর) বলে অভিহিত করেছিলেন অ্যান্ড্রিউ সাইমন্ডসকে। এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন অজি অলরাউন্ডার। এই ঘটনার জেরে তিন ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন ভাজ্জি। কিন্তু ভারতীয় দল সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরে আসার হুমকি দেওয়ায় হরভজনের ওপর থেকে সাসপেনশন উঠে গিয়েছিল।

Advertisment

৪৩ বছর বয়সী সাইমন্ডস আজও ভুলতে পারেননি মাঙ্কিগেট অধ্যায়। এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার জন্য়ই তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। সাইমন্ডস বললেন, “ওই মুহূর্তে থেকে আমার অবনমনের সূত্রপাত। আমি প্রচণ্ড মদ্যপ হয়ে উঠি। আমি অসম্ভব চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমার সতীর্থদের অহেতুক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছিলাম। যেটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছিল।”

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের টেস্ট জেতার এটাই সেরা সুযোগ: শচীন

২০০৯ সালের মে মাসে সাইমন্ডস শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন। এর পরের মাসেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাঁর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দেয়। বিশ্ব টি-২০-র আসর থেকে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাইমন্ডস আরও জাজান যে, “মদ্যপ হওয়ার জন্য়ই আমি দলের অনেক নিয়মকানুন ভেঙেছিলাম। এছাড়াও অনান্য ইস্যুও ছিল।” সাইমন্ডস আজও বলছেন যে, হরভজন তাঁকে বাঁদর বলেই ডেকেছিল। একবার নয় বারবার। এমনই অভিযোগ সাইমন্ডসের। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ানের সংযোজন, “আমি সিরিজ শুরুর আগে হরভজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখনও ও আমাকে বাঁদর বলেছিল। আমি এমনকি ভারতের ড্রেসিংরুমে গিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলাম হরভজনের সঙ্গে বাইরে দু’মিনিট কথা বলার জন্য়। ও বাইরে এসে বলেছিল, বিষয়টা থামা দরকার, নাহলে হাতের বাইরে চলে যাবে।”

Advertisment