বিশ্বকাপে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অঙ্গভঙ্গির জন্য 'দুশ্চরিত্রার সন্তান' বলে গাল দিয়েছিলেন ফ্রান্সের তারকা আদিল রামি। এরপরেই ফরাসি বিশ্বজয়ী তারকার সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন আঞ্জেল দি মারিয়া। সেই ভার্চুয়াল লড়াইয়ে এবার নেমে পড়লেন দি মারিয়ার স্ত্রী জর্জেলিনা কর্ডেজো। আদিল রামিকে চূড়ান্ত আক্রমণ করে বিখ্যাত ফুটবলারের স্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কীভাবে মহিলাদের সম্মান করতে হয়, তা তাঁর শেখা উচিত।
মার্টিনেজকে ভয়ঙ্কর গালাগালি লিখে ইন্সটা-স্টেটাস দিয়েছিলেম ২০১৮-য় ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী আদিল রামি। যেখানে তিনি কুৎসিতভাবে লিখে দেন, মার্টিনেজ ফুটবল জগতের সবথেকে দুশ্চিরিত্রা মায়ের সন্তান। এমন স্টেটাস দেখেই ক্ষেপে গিয়েছিলেন শান্তশিষ্ট আঞ্জেল ডি মারিয়া। পাল্টা তিনি লিখে দেন, “দিবু মার্টিনেজ বিশ্বের সেরা গোলকিপার। অন্য কোথাও গিয়ে কান্নাকাটি করো’।
(রামিকে পাল্টা দিলেন আর্জেন্টিনীয় তারকারা)
এর জবাবে আবার আদিল রামি দিমারিয়ার চারটে কান্নারত ছবি পোস্ট করে লিখলেন, “তুমি কি আমাকে একটু শেখাবে?’ চারটে পৃথক ছবির সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন চার ক্যাপশন, ‘যখন তুমি হেরে যাও’, ‘যখন তুমি জেতো’, ‘যখন তুমি কোনও ক্লাব ছাড়ো’, ‘যখন তুমি এই টুইট দেখবে।’
আরও পড়ুন: চার আঙুলেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, মার্টিনেজের বড় রহস্য ফাঁস হয়ে গেল এবার
(আদিল রামির সেই বিতর্কিত ইন্সটা-স্টেটাস)
এমন কথার লড়াইয়ের মধ্যেই এবার এন্ট্রি নিলেন দি মারিয়ার স্ত্রী। আদিল রামিকে ঠুকে তিনি লিখে দেন, "আঞ্জেল তোমাকে শিখিয়ে দেবে কীভাবে কাঁদতে হয়। কীভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়। এবং বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করতে হয়। শুভ নববর্ষ, হে মহান!"
দি মারিয়ার স্ত্রীর কাছ থেকে ঝাঁঝালো জবাব পেয়েও শান্ত হননি আদিল রামি। তিনি পাল্টা আবার লেখেন, "ওকে জর্জেলিনা, ও আমাকে কান্না শেখাবে, তুমি ওঁকে খবর শিখিয়ে দিও।"
সরাসরি আদিল রামিকে না বললেও ডি মারিয়ার স্ত্রী সম্ভবত আদিল রামির প্রাক্তন স্ত্রী পামেলা আন্ডারসনের কথা স্মরণ করিয়ে সূক্ষ্ম খোঁচা দিয়েছেন। পামেলা আন্ডারসন বয়ফ্রেন্ড আদিল রামিকে 'শয়তান' বলেছিলেন, পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগও তোলেন বে-ওয়াচ স্টার।
আরও পড়ুন: ফালতু জিনিসে এনার্জি নষ্ট করি না! মার্টিনেজকে ‘সপাটে চড়’ এবার মেসির ‘বন্ধু’ এমবাপের
যাইহোক, মার্টিনেজের কান্ড-কারখানায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৮-এ ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বজয়ী প্যাট্রিস এভরা। বিশ্বজয়ী তারকা বলেছেন, “এই ঘটনা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় লঘু করে দিয়েছে। এরকম ওঁরা না করলেও পারত। কখনও কখনও নিজেদের আবেগকে বশ মানানো মুশকিল হয়। তবে এরকমটা একটা বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। মার্টিনেজকে এরকম করতে দেখে আমি রীতিমত হতাশ।”