গাছে উঠে রাত কাটাতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা ভারতীয় আম্পায়ারকে। এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে অনিল চৌধুরীর ক্ষেত্রে। গোটা দেশে লকডাউন জারি রয়েছে। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে নিজের পৈতৃক গ্রাম আটকে পড়েছেন তিনি। মোবাইল নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতার কারণে বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই গাছে উঠে মোবাইল নেটওয়ার্কের খোঁজে অধিকাংশ সময় কাটছে তাঁর।
মার্চে ভারত বনাম বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল। সেই সিরিজেই ম্যাচ পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে বিশ্বজোড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেই সিরিজ বাতিল হয়ে যায়। সেই সময়েই আম্পায়ার অনিল চৌধুরী সামলি জেলায় নিজের পৈতৃক গ্রাম ডাঙরলে যান। তারওর তড়িঘড়ি লকডাউনের ফলে সেখানেই আটকে পড়েন তিনি।
পিটিআইকে নিজের অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, "মার্চ মাসের ১৬ তারিখ থেকে দুই সন্তানের সঙ্গে রয়েছি। বহুদিন পর গ্রামে এসে একসপ্তাহ কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে হঠাৎ লকডাউনে এখানেই থেকে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমার মা ও স্ত্রী রয়েছেন দিল্লিতে। আপাতত সরকারি নির্দেশিকা মেনে এগোচ্ছি।"
এরপরে তিনি আরো জানান, "এখানে সবথেকে সমস্যার মোবাইল নেটওয়ার্ক। কারোর সঙ্গে কথা বলা তো দূর ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছি না। মোবাইলে নেটওয়ার্কের জন্য ছাদে কিংবা গাছে চড়তে হচ্ছে। কিংবা গ্রামের বাইরে যেতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকছে না।"
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারায় পুত্রের পড়াশুনারও সমস্যা হচ্ছে। জানিয়েছেন তিনি, "আমার এক ছেলে হিন্দু কলেজে পরে। অনলাইনে ক্লাস চালু রয়েছে। যদিও ও সেগুলো আটেন্ড করতে পারছে না।"
দিল্লি থেকে দূরত্ব ১০০ কিমির মধ্যেই তা সত্ত্বেও মোবাইলের নেটওয়ার্কের এই সমস্যা বহুদিনের। এমনটা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, "গত একবছর ধরেই নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে গ্রামে। তবে লকডাউনের কারণে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। দিল্লি থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিমি।"
গ্রামের প্রধান ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসকদের এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনটা জানিয়ে তিনি বলছেন, গ্রামবাসীদের সামাজিকভাবে সতর্ক করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। "গ্রামবাসীদের বলছি যাতে ভিড়ভাট্টা না করেন, একসঙ্গে তাস না খেলে এবং সবসময় সাবান দিয়ে হাত ধোয় সবাই। এছাড়াও অনেককে মাস্ক বিতরণ করেছি। সবাই এখানে সোশ্যাল ডিস্টান্স বজায় রাখছে।"