স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ আগেই উঠেছিল বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির বিরুদ্ধে। তারপরেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন কপিল দেব। কমিটির মুখ সরে দাঁড়ানোর পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এবার কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন অংশুমান গায়কোয়াড়। বিশ্বকাপের পরে জাতীয় পুরুষ ও মহিলা দলের কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করার জন্য বোর্ডের তরফে গড়া হয়েছিল ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য। তবে সেই কমিটির সদস্য হতে প্রাথমিকভাবে ইচ্ছুক ছিলেন না তিনি। তবে কোচ নিয়োগের পরে আপাতত কাজ শেষ
স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠার পরেই শান্তা রঙ্গনাথন এবং কপিল দেব সরে দাঁড়ানোর পরে অংশুমান গায়কোয়াড় জানান, তিনিও কমিটিতে থাকতে ইচ্ছুক নন। সর্বভারতীয় এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে গায়কোয়াড় জানান, "কপিল দেব এবং শান্তা রঙ্গনাথন পদত্যাগ করার পরে বিনোদ রাইয়ের বিশ্বাস এই কমিটির অস্তিত্বই নেই। তাই আমিও সরে দাঁড়ালাম।" পাশাপাশি তিনি জানান, "পদত্যাগ পত্র পাঠানোর অর্থ যদি কমিটির অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তাহলে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে আমি সেই কমিটির অংশ নই।"
প্রসঙ্গত, বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন সিএসি-কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন হল স্বার্থ সংঘাতের ইস্যুতে। স্বার্থ সংঘাতের ইস্যুতে তাঁদের বিপক্ষে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা। জাতীয় দলের তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এর আগে অ্যাড হক কমিটি গঠন করে কোহলিদের কোচ বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে রবি শাস্ত্রী ফের একবার জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কপিল দেবের নেতৃত্বে বোর্ডের এই উপদেষ্টা কমিটি কোচ হিসেবে পুনর্নিয়োগ করে রবি শাস্ত্রীকেই।
পাঠানো নোটিশের জবাব ১০ অক্টোবরের মধ্যে দিতে কপিল দেবদের। বোর্ডের স্বার্থ সংঘাত তত্ত্ব অনুযায়ী, বোর্ডের কোনও পদাধিকারী একের বেশি পদে থাকতে পারবেন।