শহরের সমস্ত হাসপাতাল এখন করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত। অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য মাথা খুঁড়তে হচ্ছে। সেই বিষয়েই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়ে গেল কলকাতার জামাই ফুটবলার আনসুমানা ক্রোমার। নিজের সদ্যজাত বাচ্চাকে নিয়ে ক্রোমা আর তাঁর স্ত্রী পূজা ছুটলেন শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যত্র।
কয়েকদিন আগেই বাবা হয়েছেন ক্রোমা। তবে জন্মের পর থেকেই ক্রোমার কন্যা বিন্দুর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। জন্ডিসের লক্ষণ দেখা যায়। বর্তমানে পার্ক স্ট্রিটের এক হাসপাতালে অবশ্য ক্রোমার কন্যা সেরে উঠছে ধীরে ধীরে। এমনটাই জানালেন স্ত্রী পূজা।
একসপ্তাহ আগেই বিন্দু র জন্ম হয়। তবে তারপরে হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে পড়ায় শ্যামবাজারের সেই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় একরত্তিকে। বেড কম, এই অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ক্রোমাদের। এরপর একাধিক হাসপাতালে ঘুরলেও ক্রোমাকে হতাশ হতে হয়।।শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে ক্রোমার মেয়েকে পার্ক স্ট্রিটের এক হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়।
পিটিআইকে ক্রোমা বলছিলেন, "মাঝরাত্রে একের পর এক হাসপাতালে ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরেছি। সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। এটা পুরোটা দুঃস্বপ্ন এর মত ছিল।"
ক্রোমা আরো বলছিলেন, "করোনা ভাইরাসের জন্য পরিস্থিতি একদম খারাপ হয়ে গিয়েছে। একটা হাসপাতালে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর প্রত্যাখ্যাত হতে হল। সরকারের উচিত এই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া। অন্য রোগের ক্ষেত্রে তাহলে চিকিৎসার কী হবে! ঈশ্বরের দয়ায় এখন মেয়ে ভালো রয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, এখনই ব্লাড ট্রান্সফিউশন এর প্রয়োজন নেই। আপাতত কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ এ রেখে তারপর রিলিজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ওঁরা।"