মরশুম শুরুর আগেই নয়া ডামাডোলে বিদ্ধ ইস্টবেঙ্গল। সের্জিও লোবেরা ফস্কে গিয়েছেন। কথা দিয়েও কথা রাখেননি মুম্বই সিটি এফসি, এফসি গোয়াকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা বিখ্যাত স্প্যানিশ কোচ। চিনের সিচুয়ান জিউনিউ পর্ব শেষ করে আইএসএল-এই ফিরছেন তিনি। ওড়িশা এফসির হেড কোচ হয়ে।
বিষ্ফোরকভাবে লোবেরাকে এবার নিশানা করল ইস্টবেঙ্গল। স্প্যানিশ কোচ যে কথার খেলাপ করেছেন তা জানাতেই এবার লোবেরার এজেন্টের ইমেল-বয়ান ফাঁস করে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে। যেখানে ভারতীয় এজেন্ট অনুজ কিচলু-কে সিসি-তে রেখে লোবেরার ব্যক্তিগত এজেন্ট মার্কোস লোপেজ দিন দুয়েক আগে ইমেল করেন ইস্টবেঙ্গলকে। যেখানে স্পষ্ট ইস্টবেঙ্গলকে আরও দিন কুড়ি অপেক্ষা করার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, "আমরা অফার বিবেচনা করে দেখেছি। সের্জিও প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। তবে আমরা এখনই চুক্তি সরকারিভাবে করে ফেলতে পারছি না। কারণ বর্তমান ক্লাবের তরফ থেকে ও এখনই রিলিজ পায়নি। সের্জিও চিন ছাড়বেন কিনা, তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য আমাদের বিশ্বাস আরও ১৫-২০ দিন সময় প্রয়োজন। তবে ক্লাব অন্য কোচের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে গেলে ভালো হবে। যাতে মরসুমের প্ল্যানিংয়ের জন্য পরবর্তীতে আর সময় নষ্ট না হয়।"
লোবেরা যে কথা দিয়েও কথা রাখেননি, তা প্রমাণ করতেই এবার ইস্টবেঙ্গলের তরফে সরাসরি ইমেল-বয়ান ফাঁস করা হল। তবে লোবেরার না আসার মঞ্চেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী কোচ কে?
আরও পড়ুন: লোবেরা ধোঁকা দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে! রাগে ফেটে পড়লেন ইমামি কর্তা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে ক্লাব সূত্রের খবর, কোনওভাবেই হাবাসকে ভাবা হচ্ছে না। একসময় লোবেরার সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গল কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন হাবাস। তবে এমন জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেও হাবাসকে না নেওয়ার পক্ষপাতী বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী। দুটো কারণ বলা হচ্ছে। প্রথমত, হাবাসের বয়স এই মুহূর্তে ৬৫ বছর। সক্রিয় ফুটবল কোচিং থেকেও তিনি বহুদিন বাইরে। শেষবার এটিকে মোহনবাগানেই কোচিং করিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ত, হাবাসের টেম্পারমেন্ট নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ফুটবলারদের সঙ্গে হাবাসের তিক্ত সম্পর্কের কথা মোটেই ফুটবল মহলে মোটেই অচেনা নয়। জোসেফ গামবাউ ঠিক যে কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য কোচের তালিকা থেকে।
তাই হাবাসের কলকাতায় কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তন যে হচ্ছে না তা কার্যত নিশ্চিত। লাল-হলুদের সম্ভাব্য কোচ হওয়ার দৌড়ে আপাতত রয়েছেন আলবার্তো রোকা এবং কার্লোস কুয়াদ্রাত।