/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/messi-free-kick.jpg)
বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করার জন্য প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘সামান্য’ সেই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ঘিরেই গোটা আর্জেন্টিনা জুড়ে মেসি-ম্যানিয়া ভর করল। সেই ম্যাচেই পানামাকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিল আলবিসিলেস্তেরা। জাদু ছড়িয়ে গোল করলেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। স্বপ্নের গোলে বিশ্বকে মোহিত করলেন আরও একবার।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা গোটা ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য নিয়ে খেললেও ৭৮ মিনিট পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে থিয়াগো আলমাদা গোল করে যান। মেসির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ার পরে রিবাউন্ড থেকে আসে প্ৰথম গোল।
আরও পড়ুন: প্যারিসে অপমানিত হয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিধ্বংসী গোল মেসির, ছিটকে গেল পানামা
১০ মিনিট পরেই মেসি-ম্যাজিক। নিখুঁত ফ্রিকিকে দলের ২-০ জয় নিশ্চিত করেন। সবমিলিয়ে এটাই মেসির ৮০০ তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ গোল দূরে মহাতারকা।
¡EL SEGUNDOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOO DE #ARGENTINA, LO HIZO LIONEL ANDRÉS MESSI CUCCITTINI!👊🏼🤩🔥 pic.twitter.com/glVcaTdzm4
— Argentina Gol (@BocaJrsGol) March 24, 2023
এই নিয়ে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে কেরিয়ারে ৮০০ গোলের মালিক হয়ে গেলেন মেসি। এলএমটেনের আগে রয়েছেন একমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যাঁর বর্তমান গোলসংখ্যা ৮৩০।
২০১৬ থেকেই মেসি আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বাধিক গোলের মালিক। কোপা আমেরিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফ্রিকিক থেকে গোল করার পরেই মেসি সেই কীর্তির মালিক হন।
ম্যাচের পর সেলিব্রেশন চলল উত্তুঙ্গ মেজাজে। যার মধ্যমণি স্বয়ং মেসি। পুরস্কারে ভেসে গেলেন মহানায়ক। ম্যাচের পর আবেগী মেসি সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলতে থাকেন, "আমার ওপর ভালোবাসা বর্ষণের জন্য তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ। আমরা প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আমরা সর্বান্তকরণে ঝাঁপাব। দীর্ঘদিন পরে পাওয়া এই বিশ্বকাপ জয় এসো সকলে একসঙ্গে সেলিব্রেট করি। বহুদিন বিশ্বকাপ না জিতে কাটাতে হয়েছে। আবার কবে জিতব, বলা মুশকিল।"
ক্লাব পর্যায়ে মেসি ৭০১টি গোল করেছেন। এর মধ্যে ঘরোয়া লিগে গোলের সংখ্যা ৪৯৩টি। আর দুটো গোল (গোল অথবা এসিস্ট) করলেই মেসির গোলে অবদানের সংখ্যা ১০০০ ছুঁয়ে ফেলবে। প্ৰথম ফুটবলার হিসাবে এই কীর্তি অর্জন করবেন তিনি।
নিজের কেরিয়ারে রেকর্ড ১৭৩টি সিনিয়র পর্যায়ে খেলেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে। ১৯৮৬-তে মারাদোনার শেষবার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। তারপরে আলবিসিলেস্তেদের ঘরে ট্রফি গিয়েছে মেসির হাত ধরে।
Read the full article in ENGLISH