তাঁদের দুজনকে নিয়ে বিশ্ব ফুটবল উত্তাল হয়ে গিয়েছে। অপমান, অশ্রদ্ধাসূচক ব্যবহার শিরোনামে উঠে এসেছে। এর মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছেন স্বয়ং লিওনেল মেসিও। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে আলোচনা থামার লক্ষণই নেই। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার প্রায় দু-মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও মার্তিনেজ এবং এমবাপে এখনও আলোচনায় 'ট্রেন্ডিং'।
এমন অবস্থায় আর্জেন্টিনার গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী গোলকিপার এমি মার্টিনেজ সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এমবাপেকে অসম্মান করার কোনও প্রশ্নই নেই। বরং ওঁর জন্য অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।
বিশ্ব ফুটবলের চালু ধারণা, ফরাসি সুপারস্টারের সঙ্গে মার্টিনেজের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরেই মার্তিনেজ এমবাপেকে অপমান করে গান গেয়েছিলেন লকাররুমে। তারপরে দেশে ফিরে দেশজ সতীর্থদের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় সেলিব্রেট করার সময় তাঁর হাতে দেখা গিয়েছে এমবাপের মুখ বসানো পুতুল। যার পরে উত্তাল হয়ে গিয়েছিল ফুটবল জগৎ। ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার তরফে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে।
এবার মার্টিনেজ সেই বিষয় নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন। ফ্রান্স ফুটবল-কে দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন, "এমবাপের যে পুতুল বসানো মুখ আমার হাতে ধরা নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেই পুতুল কিন্তু স্রেফ দু-সেকেন্ড ছিল আমার হাতে। সমর্থকরা আমাদের দিকে অনেক পুতুল ছুঁড়ছিলেন। আমি যে পুতুল তুলে নিই, সেটা ছিল এমবাপের মুখ বসানো। তারপরে ওটা ছুঁড়ে ফেলে দিই। ব্যাস এটুকুই।"
"এমবাপেকে নিয়ে আমি মজা করতে যাব কেন? ফাইনালে ও আমাকে পেরিয়ে চারটে গোল করেছিল। আমাকেই চার গোল! ও তো বরং ভাবতেই পারে আমি ওঁর হাতের পুতুল। এমবাপের জন্য আমার প্রচুর সম্মান রয়েছে।"
লকার রুমের সেই কুখ্যাত গান নিয়ে মার্টিনেজের বক্তব্য, "এটা লকার রুমের ঘটনা। জনসমক্ষে মোটেই আসার বিষয় নয়। ২০১৮-য় ফ্রান্স যখন আমাদের হারিয়েছিল, এনগোলো কান্তেও মেসিকে নিয়ে গান ধরেছিল। একইভাবে কোনও দল যদি ব্রাজিলকে হারায় নেইমার গানের বিষয়বস্তু হবে। নেইমার বা এমবাপেকে নিয়ে গান ধরার অর্থ ওঁরা দুজনেই গ্রেট।"
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা গিয়েছিল মাঠে। ভেঙে পড়া এমবাপেকে স্বান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মার্টিনেজকে। সেই দৃশ্যের কথা স্মরণ করে বিশ্বকাপ জয়ী মেসির সতীর্থ বলে দিয়েছেন, "ওঁকে স্রেফ বলেছিলাম, নিজের জন্য ও গর্বিত হতেই পারে। মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়া উচিত ওঁর। কারণ ও ফাইনালে দুরন্ত খেলেছিল। প্রমাণ করেছিল ও বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। ফাইনালে একার হাতে এমবাপে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিল প্রায়। ওঁকে থামানোই যাচ্ছিল না। আমি নিশ্চিত মেসি অবসর নিলে ওঁর জন্য অনেক ব্যালন ডি'অর অপেক্ষা করে রয়েছে।"
Read the full article in ENGLISH