ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মেসওপিনিয়ন-এ ফাইনাল ম্যাচ নতুন করে করানোর দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছিল ফ্রান্স। যাতে সাড়া দিয়েছিল ২ লাখের বেশি ফরাসি সমর্থক। একাধিক রেফারিংয়ের ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ফ্রান্স ফিফার ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল যাতে ফাইনাল ম্যাচ রিপ্লে করা হয়।
এবার পাল্টা মাস-পিটিশন করল আর্জেন্টিনীয় সমর্থকরাও। ব্যঙ্গ করে আর্জেন্টিনীয়দের গণস্বাক্ষরের বিষয়বস্তু 'ফ্রান্স স্টপ ক্রাইং'।
আরও পড়ুন: বড্ড বেয়াদপ! বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনীয় গোলকিপারকে তাড়াতে চলেছে EPL-এর ক্লাব
তিন কারণ দেখিয়ে ফাইনাল ম্যাচের রিপ্লে করার দাবি জানিয়েছেন ফ্রান্স সমর্থকরা। প্ৰথমত, আর্জেন্টিনার প্ৰথম পেনাল্টির সময়ে ডি মারিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়েছেন বক্সের মধ্যে। দেম্বেলের সঙ্গে কোনওরকম সংযোগ হওয়া সত্ত্বেও। এমনটাই দাবি ফরাসিদের। রেফারি ভার চেক না করেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
দ্বিতীয়ত, ডি মারিয়া আর্জেন্টিনাকে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার বিল্ড আপ প্লে-তে কিলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করা হয়েছিল, এমনটাই মনে করছেন ফরাসি ফুটবল সমর্থকরা। যা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে গিয়েছেন মার্সিনিয়াক। দাবি এমনটাই।
তৃতীয়ত, অতিরিক্ত সময়ে মেসির তৃতীয় গোলটিও বিতর্কবিদ্ধ। মেসির গোলের সময় মুহূর্তের উত্তেজনায় দু-জন পরিবর্ত ফুটবলার মাঠে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফিফার রুল অনুযায়ী, যা পুরোপুরি নিয়ম-বিরুদ্ধ।
আরও পড়ুন: এমবাপের গোল অবৈধ ছিল! ফুটেজ দেখিয়ে বিষ্ফোরক দাবি বিশ্বকাপ ফাইনালের রেফারির
এরই পাল্টা হিসাবে আর্জেন্টিনা এবার হাজির হল, 'ফ্রান্স কেঁদো না' পিটিশন নিয়ে। গোল.কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পিটিশন শুরু করেছেন ভ্যালেন্টিন গোমেজ নামের এক সমর্থক। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই পিটিশন স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে গিয়েছে।
গোমেজ লিখেছেন, "যখন থেকে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, ফ্রান্স কান্না থামায়নি। অভিযোগের পর অভিযোগ করেই চলেছে। আর্জেন্টিনা যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তা ওঁরা মানতেই চাইছে না। এই পিটিশনের উদ্দেশ্য, মেসি যে সর্বকালের সেরা এবং এমবাপে যে ওঁর পুত্র, সেটা যাতে ওঁরা কান্নাকাটি থামিয়ে মেনে নেয়।"
আরও পড়ুন: রেফারিই ভিলেন, নতুন করে হোক বিশ্বকাপ ফাইনাল! লাখো লাখো সই জমিয়ে উত্তাল ফ্রান্স
রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচ বিশ্বকাপের ইতিহাসে শতাব্দী সেরা এমনটাই বলা হচ্ছে। এমনকি মার্কিন টিভির দুনিয়াতেও ভিউয়ারশিপে রেকর্ড গড়ে ফেলেছে দোহায় ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ। নাটকীয় ম্যাচের বয়স এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আলোচনা যেন থামছেই না।