রঞ্জি অভিষেকেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন শচীন। ৩৫ বছর আগের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শচীন-পুত্র অর্জুনের হাত ধরে। মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় নাম লিখিয়েছেন শচীন-পুত্র। গোয়ার হয়ে রঞ্জিতে খেলতে নেমেই রাজস্থানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। পারভোরিমে গোয়া ক্রিকেট সংস্থার মাঠে অর্জুনের শতরান এল ১৭৭ বলে।
যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, সেই সময় গোয়া ২০১/৫-এ। তারপরে গোটা মাঠ জুড়ে তান্ডব চালালেন কিংবদন্তি পুত্র। নিজের ইনিংসে অর্জুন একডজন বাউন্ডারি যেমন হাঁকালেন, তেমন দুটো পেল্লায় ছক্কাও বেরোল তাঁর ব্যাট থেকে। সুযশ প্রভুদেশাইয়ের (১৭২ ব্যাটিং) সঙ্গে ২০৫ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়ে গেলেন।
যাইহোক, চলতি মরশুমেই অর্জুন মুম্বই থেকে ঘাঁটি গেড়েছেন গোয়ায়। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কাছে এনওসি সংশাপত্র পেয়ে আর দেরি করেননি। নাম লিখিয়েছেন পড়শি রাজ্যে।
নিজেদের বিবৃতিতে এসআরটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বলেছিল, "কেরিয়ারের এই সময়ে যত বেশি ম্যাচ খেলবে অর্জুন, ততই ভালো। আমাদের বিশ্বাস রাজ্য বদল করলে ওঁর খেলার সম্ভবনা আরও বাড়বে। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে নতুন যাত্রা শুরু করতে চলেছে ও।"
রঞ্জি ট্রফি শুরুর আগে শচীন গোয়ায় গিয়েছিলেন পুত্র অর্জুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারতে। মুম্বইয়ে অর্জুন সবসময়ই প্রচারের আলোয় থাকছিলেন। পারফরম্যান্স নিয়েই অবিরত কাটাছেঁড়া চলত। চলতি সিজনে গোয়ার জার্সিতেই বিজয় হাজারে এবং সৈয়দ মুস্তাক আলিতে খেলেছিলেন জুনিয়র তেন্ডুলকার। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান এবং মিডিয়াম পেসার অর্জুন আটটি লিস্ট-এ ম্যাচে অংশ নিয়ে আটটি উইকেট নেন। তিনটে টি২০ ম্যাচে চারটে উইকেটও নিয়েছেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে।
গত মরশুমে মুম্বই রঞ্জির ফাইনালে পৌঁছেছিল। মুম্বইয়ের নির্বাচকরা অর্জুনকে স্কোয়াডে রাখলেও একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। যুব ক্রিকেটার হিসেবে অর্জুন জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৯ দলে সুযোগ করে নেন। আইপিএলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স স্কোয়াডে থাকলেও অভিষেক এখনও ঘটাননি।