ইংল্যান্ড: ১৩২/১০ এবং ভারত: ১৩৩/৩
IND vs ENG 1st t20I match report: টেস্টে যতই কড়কানি হজম করতে হোক না কেন, টি২০-র দুনিয়ায় ভারত অপ্রতিরোধ্য তকমা ধরে রাখল। বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধুয়ে দেওয়ার পর এবার ঘরের মাঠে আগুনে মেজাজেই টি২০ সিরিজে অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া।
ইডেনে প্ৰথম ম্যাচেই ভারতের বিধ্বংসী ক্রিকেটে কার্যত উড়ে গেল ইংল্যান্ড। টার্গেট ছিল মাত্র ১৩৩। অল্প রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নেমে ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটেজি ছিল পেস। জফরা আর্চার, মার্ক উডরা আগুনে পেস নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ইডেনে। তবে অভিষেক শর্মা কার্যত ছিঁড়েখুঁড়ে ফেললেন ভয়ডরহীন ক্রিকেটে।
অভিষেকের তান্ডবে ভারত টার্গেটে পৌঁছল মাত্র ১২.৫ ওভারে। তাও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। ৪৩ বল এবং ৭ উইকেট হাতে নিয়ে এটাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের বৃহত্তম টি২০ জয়। শুরুটা করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। জফরা আর্চার প্ৰথম ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেছিলেন।
দ্বিতীয় ওভারেই সঞ্জুর তান্ডবে গাস আটকিনসন ২২ রান দিয়ে ঝড়ের সূচনা করে যান। জফরা আর্চার গতির মিশ্রণ ঘটিয়ে নিজের ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করেন। মাঝে একই ওভারে সঞ্জু এবং সদ্য ক্রিজে নামা সূর্যকুমার যাদবকে ফিরিয়ে সামান্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিলেন। তবে তারপরেই ছেলেখেলা শুরু করেন অভিষেক শর্মা।
ক্রমাগত ১৫০ প্লাস গতিতে বল করতে থাকা মার্ক উড থেকে টি২০-তে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক আদিল রশিদ, জেমি ওভারটন- কাউকেই রেহাই দেননি তিনি। ৩৪ বলে ৭৯ করে যান ৫ বাউন্ডারি, ৮টা ছক্কার সাহায্যে।
বেশ কয়েকবার ভাগ্য সহায়তা করলেও অভিষেক কখনই মারমুখী অবতার থেকে সরে আসেননি। ভারতীয় ইনিংসের শেষদিকে রশিদের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেও তখন ভারত জয়ের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।
তার আগে ইংল্যান্ড প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ব্যাকফুটে চলে যায় অর্শদীপ সিংয়ের ওপেনিং স্পেলে। প্ৰথম দুই ওভারেই ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অর্শদীপ।
এরপরে হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লে উতরে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন জস বাটলার। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। পাওয়ার প্লের শেষদিকে বরুণ চক্রবর্তী আক্রমণে আসার পরে ইংরেজ ব্যাটিং লাইনআপের পুরোপুরি ধস শুরু হয়ে যায়। বরুণের রং ওয়ান সামলাতে না পেরে একে একে আউট হয়ে যান হ্যারি ব্রুক, লিভিংস্টোনরা।
অন্য প্রান্তে অক্ষর প্যাটেল, রবি বিশ্নোইরাও যোগ্য সহায়তা করে যান। ক্যাপ্টেন জস বাটলার একাই দলকে টানছিলেন। তাঁকেও শেষদিকে তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৩ রানের বিনিময়ে বরুণ একাই নেন ৩ উইকেট। হার্দিক, অর্শদীপ, অক্ষররা প্রত্যেকে নেন ২ টো করে উইকেট।