প্রখ্যাত ক্রিকেটার। বঙ্গ ক্রিকেট সমাজের অন্যতম আইকন তিনি। বাংলা রঞ্জিজয়ী দলের সদস্য অরুণ লাল বর্তমানে রাজ্য দলের কোচিংয়েরও দায়িত্বে। তবে হঠাৎ করেই ক্রিকেট নয়, ৬২ বছর বয়সে নতুন করে আলোচনায় তিনি ব্যক্তিগত ঘটনার আবর্তে।
প্ৰথম স্ত্রী-র অনুমতি নিয়েই নতুন করে সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন তিনি। অদূর ভবিষ্যতে প্ৰথম স্ত্রী-কে ডিভোর্স করবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২ মে যখন তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, সেই সময়ে তিনি ডিভোর্সি নন, এমনটা স্পষ্ট। প্ৰথম স্ত্রী-র সম্মতিতে দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কিন্তু আইনত বৈধ নন।
আরও পড়ুন: টানা ৭ ম্যাচে হার, এখনও প্লে অফে যেতে পারে মুম্বই! কীভাবে সম্ভব, জানুন অঙ্কের হিসাব
এমনটাই মনে করছে আইনজীবী মহল। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জাকির হুসেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন, "ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দুটো বিয়ে বৈধ নয়। প্ৰথমে দেখতে হবে উনি কোন ধর্মাবলম্বী। যদি হিন্দু হন, তাহলে কোন সম্প্রদায়ের, তা বিবেচনা করতে হবে।"
অরুনলালের দ্বিতীয় বিয়ের কার্ড (সংগৃহীত)
"১৯৫৫-এর আগে প্রত্যেক ধর্ম নির্ধারিত হত প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে। হিন্দু ম্যারেজ এক্ট অনুযায়ী, রামায়ণ প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মগ্রন্থ কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দেয়না।"
আইনত, প্ৰথম স্ত্রী-র সম্মতিতে অরুণলাল দ্বিতীয় বিয়ে করতেই পারেন। তবে আইন বলছে, সেক্ষেত্রে লিখিতভাবে বিষয়টি আইনত জানাতে হবে। এমনটাই জানালেন প্রখ্যাত আইনজীবী।
জানা যাচ্ছে, প্ৰথম স্ত্রী অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী। অরুণলাল আইনতভাবে লিখিত সম্মতিপত্র আদায় করবেন কিনা তা-ও স্পষ্ট নয়। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়াও যায়নি।
দিল্লির পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম। দিল্লি থেকে ক্রিকেট খেলতেই কলকাতায় আগমন। তারপরে এই শহরের বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন দীর্ঘ কয়েক দশক। ১৯৮৯/৯০ মরশুমে বাংলার রঞ্জি জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনিই আপাতত দীর্ঘদিনের বান্ধবী বুলবুল সাহাকে দ্বিতীয় বিয়ের সুবাদে আলোচনায় উঠে এসেছেন। প্ৰথম স্ত্রী রীনা দেবীর এবং বুলবুল সাহার সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকবেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও ফিরে এসেছেন অদম্য মানসিক কাঠিন্যয় ভর করে। এবার সেই লড়াকু মানসিকতা সমাজের সাজানো ট্যাবু ভাঙতে পারবে কিনা, সেটাই দেখার।