বছর সাতেক আগে একবার ঝড়ের গতিতে চলতে থাকা ট্রেন থেকে তাঁকে ফেলে দিয়েছিল ডাকাতরা। কারণ ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটা। প্রাণে বাঁচলেও একটা পা বাদ পড়েছিল অরুণিমার। অরুণিমা সিনহা। কাঠের পা নিয়েই বছর দুয়েকের মধ্যে অরুণিমা পৌঁছে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিন্দুতে। বছর পাঁচেকের মধ্যে আবার ইতিহাস গড়লেন। জাতীয় দলে ভলিবল খেলা অরুণিমা সিনহা এবার জয় করলেন আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এক মহিলা জয় করলেন মাউন্ট ভিনসন। বিশ্ব পর্বতারোহণের ইতিহাসে এই নজির নেই এখনও। অসাধ্য সাধনের খবরটা প্রথম টুইট করে প্রকাশ্যে আনেন অরুণিমা নিজেই। ৩ জানুয়ারি সফল ভাবে ভিনসন চুড়োয় পা রাখার খবর টুইট করেন তিনি। সাড়া পড়ে যায় সারা দুনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস মহলে। নানা মহল থেকেই আসতে থাকে অভিনন্দন বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন, ইতিহাসের অপেক্ষা, সপ্তম আগ্নেয়গিরি জয়ের পথে সত্যরূপ
বিশ্বের সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ সাত শৃঙ্গে পৌঁছনো অরুণিমার স্বপ্ন। ইতিমধ্যে তাঁর কৃতিত্বের ঝুলিতে পুরে ফেলেছেন সাত মহাদেশের ৬টি শৃঙ্গই। অসীম সাহস, জেদ বুকে নিয়ে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলায় ২০১৫ সালে অরুণিমা সম্মানিত হন পদ্মশ্রী খেতাবে। ওই একই বছর তাঁকে তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড দিয়েও সম্মান জানায় ভারত সরকার।
Read the full story in English