৩ তারিখেই প্রথম টি২০ দিল্লিতে। আর দিওয়ালির পরে দিল্লির বায়ুর অবস্থা মারাত্মক। বিশেষজ্ঞরা এই দূষণকে 'ভয়ালতর' ক্যাটিগরিতে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন রাজধানীবাসী। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ শঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল ক্রিকেটমহলের। তবে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিশ্বাস করেন, বায়ুদূষণ ক্রিকেটে ব্যাঘাত ঘটাবে না।
মাত্রাছাড়া বায়ুদূষণের মুখে কেজরিওয়াল সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আশা করছি দূষণ ক্রিকেটে সমস্যা তৈরি করবে না। নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকেই ফের একবার জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা হচ্ছে।" দিল্লি সেক্রেটারিয়েট ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেখানেই তিনি আরও জানান, "এই মরশুমে আগেও এই সমস্যার উদ্ভব ঘটেছিল। সেই সময়েও কিন্তু ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। দিল্লিতে নির্ধারিত সূচি মেনেই খেলা উচিত।"
দিওয়ালি পরবর্তী পর্বে সফর (সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ)-এর রিপোর্টে দিল্লির মারাত্মক দূষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লির বিশেষ কিছু অংশ দূষণের মাত্রা যে লাগামছাড়া, তা-ও জানানো হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (নর্থ ক্যাম্পাস), পুসা, রোহিনী-পাঞ্জাব বাগ, ওয়াজিরপুর, জাহাঙ্গিরিপুরি, ডিটিইউ এবং বাওনা।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলা আয়োজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিল বোর্ড। ফিরোজ শাহ কোটলা (বর্তমানে প্রয়াত মন্ত্রী অরুণ জেটলির নামাঙ্কিত) ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা শ্বাসকষ্ট হওয়াতে ম্যাচের মাঝেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ে দেওয়া বিবৃতিতে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, "দিল্লিতে দিওয়ালি পরবর্তী বায়ু দূষণের কথা আগেই ভাবা হয়েছিল। তবে ম্যাচ যেহেতু দিওয়ালি আরও এক সপ্তাহ পরে, ক্রিকেটাররা কোনও সমস্যায় পড়বে না।" যদিও তিনি মেনে নিয়েছিলেন, এই শঙ্কার বাস্তব ভিত্তি রয়েছে। বোর্ডের রোটেশন নীতি মেনে সফরকারী দলের কথা মাথায় রেখে প্রথম ম্যাচ দিল্লিতেই রাখা হয়েছিল। এখন বোর্ড কর্তাদের আশা দিন-রাতের ম্যাচে এই বায়ুদূষণ ফ্যাক্টর অতটা প্রভাব ফেলবে না।
Read the full article in ENGLISH