এটিকেতে তিন বছর পরে প্রত্যাবর্তন ঘটছে অ্যান্টোলিও লোপেজ হাবাসের। আর বছর দেড়েক পরেই চেনা শহরে ফিরতে চলেছেন অ্যাশলে ওয়েস্টউড। এটিকে ছেড়ে তাঁর ঠিকানা এবার মোহনবাগান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন কোচ এবং এটিকের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে দেখা যেতে পারে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবেই। সূত্রের খবর এমনটাই।
শঙ্করলাল ভট্টাচার্যকে আইলিগের মাঝপথে সরিয়ে দেওয়ার পরে খালিদ জামিলকে অন্তর্বর্তী কোচ করা হয়েছিল সবুজ মেরুন শিবিরে। তবে ভিতরের খবর বলছে, মুম্বইকরকে নতুন মরশুমে রাখতে আগ্রহী নন কর্তারা। প্রথমেই কর্তারা ঠিক করে নিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলে চেনা কোনও বিদেশিকেই কোচ হিসেবে আনা হবে। সেই ফর্মুলা মেনেই কয়েকজনকে বাছাই করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে সেই দৌড়ে প্রবলভাবে ছিলেন রিয়াল কাশ্মীরের কোচ ডেভিড রবার্টসন।
মোহনবাগানের কোচ হওয়া প্রায় চূড়ান্ত অ্যাশলে ওয়েস্টউডের (ফেসবুক)
আরও পড়ুন
আইলিগে আবির্ভাবের প্রথম বছরেই ডেভিড রবার্টসন সফলভাবে কোচিং করিয়েছেন ভূস্বর্গের ক্লাবকে। চেন্নাই সিটি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলের পরেই তৃতীয় স্থানে শেষ করে রিয়াল কাশ্মীর। তবে রবার্টসন প্রথম পছন্দ হলেও ব্রিটিশ কোচ কলকাতায় কোচিং করাতে উৎসাহী নন। এরপরে গোকুলম কেরলের প্রাক্তন আর্জেন্টাইন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টিয়াগো ভ্যারেলার সঙ্গেও একপ্রস্থ কথা বলেছিলেন বাগান কর্তারা। তবে মেসির দেশের কোচ উৎসাহী হলেও শেষ এক মাসে আবার কর্তারা যোগাযোগ রাখেননি তাঁর সঙ্গে।
গোকুলমের প্রাক্তন কোচ ফের্নান্দো স্যান্টিয়াগো ভারেলা (নিজস্ব চিত্র)
কারণ, অ্যাশলে ওয়েস্টউডের সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে মোহনবাগানের। সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন কোচ ভারতীয় ফুটবলে বেশ পরিচিত মুখ। বেঙ্গালুরুর সাফল্য এনে দেওয়ার পরে মালয়েশিয়ার পেনাং এফসি-র কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন। যদিও সেখানে সফল হতে পারেনি। এর পরে তো ব্রিটিশ কোচের বহু চর্চিত এটিকে-পর্ব।
রিয়াল কাশ্মীরের কোচ ডেভিড রবার্টসন (নিজস্ব চিত্র)
টেডি শেরিংহ্যাম কোচ এবং ওয়েস্টউডকে টিডি করিয়ে এনে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল এটিকে। শেরিংহ্যাম সরে যাওয়ার পরে কয়েকটা ম্যাচে কোচিং করিয়েও দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি। এবার তার সামনে মোহনবাগান চ্যালেঞ্জ! গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে সাফল্যের রুট-ম্যাপ বাতলে দিতে পারবেন তিনি, সেটাই আপাতত দেখার।