Asia Cup 2020: পাকিস্তানে এশিয়া কাপ, ১৩ বছর পর কোহলিরা কী যাচ্ছেন ওয়াঘার ওপারে
দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে। লোকসভা নির্বাচনে সদ্য বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে। লোকসভা নির্বাচনে সদ্য বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
বিশ্বকাপে এখনও বল গড়ায়নি। তার আগেই ভাল খবর পেয়ে গেল পাকিস্তান। আগামী বছর ২০২০ সালে পাকিস্তানে আয়োজিত হতে চলেছে এশিয়া কাপ। এমন খবর প্রকাশ্য়ে আসার পরেই আশা-আশঙ্কার চোরাস্রোত বিশ্বক্রিকেটে। এমনিতেই একদশক হতে চলল বিশ্ব ক্রিকেটে কার্যত একঘরে পাকিস্তান। ২০০৯ সালে পাকিস্তানে সফররত শ্রীলঙ্কার টিম বাসের উপরে জঙ্গি হামলার পরে ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজন করতে পারে না পিসিবি। এই নিয়ে হতাশার শেষ নেই পাকিস্তানের। মাঝে জিম্বাবোয়ে সিরিজ আয়োজন করলেও কোনও দলই কার্যত পাকিস্তানে খেলতে যেতে রাজি নয়।
Advertisment
দুবাই-তেই হোম ম্যাচ খেলতে হয় শোয়েব-সরফরাজদের। দীর্ঘ হতাশার কাটানো পাকিস্তানকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এবার এশিয়া কাপ আয়োজন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কার্যকরী সমিতির কিছুদিন আগেই বৈঠক হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২০ এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান। এই সভায় পিসিবির সভাপতি এহসান মানি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম খান সহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে পাকিস্তান এশিয়া কাপের হোস্ট, একথা চাউর হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ভারত আদৌ খেলতে যাবে তো! শুধু নিরাপত্তাজনিত বিষয় নয়, রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতার কারণেই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বহুদিন বন্ধ। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ অংশ নেবে কিনা, তা নিয়েও বিতর্ক গড়ায়। সবশেষে বিশ্বকাপে দুই দেশের দ্বৈরথ সব বাধা কাটিয়ে সংগঠিত হতে চললেও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পাকিস্তানে ভারত এশিয়া কাপে খেলতে যাবে কিনা, তা নিয়েই।
এমনিতেই দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে। লোকসভা নির্বাচনে সদ্য বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পড়শি দেশকে চাপে রাখার কৌশল-ই দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসা মোদির প্রধান কৌশল হতে চলেছে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বোর্ডের এক কর্তা যদিও জাতীয় প্রচারমাধ্যমে বলেছেন, "পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়ে পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নেবে। যা নির্দেশ দেওয়া হবে, তা-ই আমরা পালন করব। তবে আমাদের বিশ্বাস পাকিস্তান হয়তো কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।"
সূত্রের খবর, পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলার বদলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপ যাতে আয়োজন করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান, সেই প্রচেষ্টাই ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই।