এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিসিসিআইকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই এবার এশিয়া কাপের সময় লাহোরে যাচ্ছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট রজার বিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের চলমান ক্রিকেট সম্পর্কে জটিলতা এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হওয়ার পর এই প্ৰথমবার ভারতীয় বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা পাকিস্তানে যাচ্ছেন।
এর আগে ২০০৮-এ পাকিস্তানে আয়োজিত এশিয়া কাপে অংশ নিতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেই সময়েই শেষবার বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের দেখা গিয়েছিল পাক মুলুকে। তবে মুম্বইয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার পর সমস্ত ক্রিকেটীয় সম্পর্কে দাড়ি পড়ে যায়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তখন থেকেই বন্ধ।
৩ সেপ্টেম্বর লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তানের গ্রুপ ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচ চলার সময়েই স্টেডিয়ামে হাজির থাকবেন বিসিসিআইয়ের আধিকারিকরা। এমনটাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, "বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা এশিয়া কাপের কয়েকটি ম্যাচ দেখতে পাকিস্তান যাবেন। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলর অন্যতম প্রধান সদস্য দেশ হওয়ায় ভারতীয় বোর্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। সেই কারণেই বিনি এবং শুক্লা পাকিস্তান যাবেন।"
এশিয়া কাপের জন্য ভারত পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করার পর হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জয় শাহ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত ওয়াঘার ওপারে যাবে না। পাকিস্তান চারটি এবং শ্রীলঙ্কা নয়টি ম্যাচ আয়োজন করবে এশিয়া কাপে। অগাস্টের ৩০ তারিখে টুর্নামেন্টের প্ৰথম ম্যাচে আয়োজক দেশ পাকিস্তান মুলতানে খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
ভারত নিজেদের সমস্ত ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। সেপ্টেম্বরের ২-এ পাল্লাকেলেতে হবে বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাক দ্বৈরথ। এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে ভারত-পাককে। যে গ্রুপে রয়েছে নেপাল-ও। কলম্বোয় সুপার-৪ রাউন্ডে আরও একবার মুখোমুখি হতে পারে দুই দল।
অন্য গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল সুপার-৪'এ কোয়ালিফাই করবে। শেষ চারে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সমস্ত দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে। সেরা দুই দল কলম্বোর আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে নামবে।