বিপদে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ব্যাপকভাবে সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। ইনিংস শুরু হতে না হতেই টপ অর্ডার ধসে গিয়েছিল। রোহিত, শুভমান তো বটেই কোহলি, শ্রেয়সও সাততাড়াতাড়ি সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ভারতকে ম্যাচে ফেরান ঈশান কিষান। ঋষভ পন্থ খেললে হয়ত যাঁর খেলাই হত না। কঠিন সময় থেকেই হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচে ফেরালেন তিনি।
মারকুটে ব্যাটসম্যান। অথচ ভারতের কঠিন সিচুয়েশনে নিজেকে বদলে ফেললেন ঈশান। হাফসেঞ্চুরি করতে ৫৪ বল নিয়ে নিলেন তিনি। ওয়ানডেতে এই প্ৰথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন ঈশান। আর প্ৰথম ম্যাচেই বাজিমাত ঈশানের। হাফসেঞ্চুরি করার পথে একটা ছক্কা সহ হাফডজন ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। সেই সঙ্গে পাক ম্যাচেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১৫০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন তিনি।
উইকেট-কিপার তারকা টানা চারটে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি করলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে টানা তিনটে ফিফটি করেছিলেন। তারপর শনিবারের হাফসেঞ্চুরি।
ঘটনা হল, টানা চারটে হাফসেঞ্চুরি করার নিরিখে মহেন্দ্র সিং ধোনির কীর্তি স্পর্শ করে ফেললেন তিনি। ভারতের প্ৰথম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ধোনি টানা চারটে হাফসেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছিলেন। সেই নজির এবার ছুঁয়ে ফেললেন ঈশান কিষান। ২০১১-র ধোনির কীর্তির পর ২০২৩-এ এল একই কীর্তি। এক ঝাড়খন্ডির নজির ছুঁলেন অন্য এক ঝাড়খন্ডি।
যাইহোক, ভারত একসময় ৬৬/৪-এ ধসে গিয়েছিল। সেখান থেকে ভারত ম্যাচে ফেরে ঈশান-হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩৮ রানের পার্টনারশিপে ভর করে। ঈশান কিষানকে শেষ পর্যন্ত ফেরান হ্যারিস রউফ। ৮১ বলে ৮২ রানের ইনিংসে নয় বাউন্ডারি, জোড়া ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।