এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। তবে দুঃসংবাদের এখানেই শেষ নয়। বিশ্বকাপেও পাক দলের জন্য ব্যাপক খারাপ খবর। আর মাত্র সপ্তাহ দেড়েক। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে মহারণ।
সেই বিশ্বকাপেই এবার প্ৰথম দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচে হয়ত খেলতে পারবেন না নাসিম শাহ। এমনিতেই হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহকে বাইরে রেখে শ্রীলঙ্কান ব্যাটিংকে থামাতে পারেনি পাক বোলাররা। জামান খান, শাদাব খানরা মোটেই ভরসা জোগাতে পারেননি এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে। বারবার হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহদের অভাব অনুভূত হয়েছে। এমন অবস্থায় নাসিম শাহের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা নিঃসন্দেহে পাক বাহিনীর কাছে বড়সড় ধাক্কা।
নাসিম শাহকে নিয়ে সংশয়ের আবহ থাকলেও হ্যারিস রউফ অবশ্য ভালভাবেই রিকভারির পথে। অক্টোবরের ৬ তারিখ পাকিস্তান প্ৰথম ম্যাচে খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। হায়দরাবাদের সেই ম্যাচের আগে পুরো ফিট হয়ে যাবেন হ্যারিস রউফ। এমনটাই বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলম্বোর থ্রিলারে ‘সেঁকে গেল’ পাকিস্তান! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। আর বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার কাছে দল যখন হোঁচট খাচ্ছে, সেই সময় সাইডলাইনে বসে দেখতে হয়েছে তাঁকে।
নাসিম শাহের চোট রয়েছে ডান কাঁধে। পাক বোর্ডের তরফে এখনও তারকা স্পিডস্টারের চোট অথবা রিহ্যাব প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।
বাবর আজমের গলায় আগেই সংশয়ের সুর ছিল, "এই বিষয়ে পরে মুখ খুলব। এখনই আমাদের প্ল্যান বি নিয়ে কিছু বলছি না। তবে হ্যারিস রউফের অবস্থা এতটা খারাপ নয়। স্রেফ একটু পেশির টান লেগেছে, এটুকুই। ওয়ার্ল্ড কাপের আগেই ও রিকভারি করে ফেলবে।"
"নাসিম শাহ-ও রিকভারি করছে। বেশ কয়েকটা ম্যাচ মিস করতে চলেছে এই যা! জানি না কবে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবে নাসিম। তবে আমার মতে বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্যায়ে ওঁকে পাওয়া যাবে।"
২০ বছরের নাসিম বরাবরই চোটপ্রবণ। কেরিয়ারের শুরুর দিকে একবার চোটে ১৪ মাস বাইরে কাটাতে হয়েছিল। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের ঠিক ছয় সপ্তাহ পর কাউন্টিতে গ্লসেস্টারশেয়ারের হয়ে খেলতে নেমেই পুনরায় চোট পেয়ে এক মাসের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল। প্ৰথম দিকে নাসিমকে কেবলমাত্র টেস্ট স্পেশ্যালিস্ট হিসাবে ভাবা হত। তবে তিনি নিজেকে তিন ফরম্যাটেই অপরিহার্য প্রমাণ করেছেন।
ওয়ানডেতে নাসিমের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ১৪ ম্যাচেই ৩২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। গড় ১৭-এরও কম। ছয় সপ্তাহ ব্যাপী বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির কাছে দলগুলোর চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দিতে হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৫ জনের স্কোয়াড এরপরে বদলাতে হলে আয়োজকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে সরকারিভাবে আর কোনও ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে না পাকিস্তান। ওয়ার্ল্ড কাপে খেলতে নামার আগে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলবে। তবে সেগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা পাবে না।