ভারত এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছনোর লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান। এরপরেই পাক দলকে সমালোচনায় ভাসিয়ে দিলেন রামিজ রাজা, শোয়েব আখতার, রশিদ লতিফ এবং কামরান আকমল। রামিজ রাজা সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছেন, পাক দলকে দেখে মনে হয়েছে, ভারতের কাছে বিধ্বস্ত করার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাবররা।
রামিজ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, "ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হার মানসিকভাবে দুমড়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও সেই হারের রেশ রয়ে গেল। ওঁদের ভয় পাওয়া মনে হচ্ছিল। ম্যাচ পুরোপুরি ফিনিশ করতে পারল না। বাবর আজম সহ গোটা পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে দেখে মনে হচ্ছিল অতিরিক্ত সতর্ক। দাপটটাই ছিল না ওঁদের ব্যাটিংয়ে।"
আরও পড়ুন: কলম্বোর থ্রিলারে ‘সেঁকে গেল’ পাকিস্তান! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
পাক ব্যাটিং অর্ডারে ফর্মে না থাকা ফখর জামানের অন্তর্ভুক্তি এবং বাবর আজমের ক্যাপ্টেন্সিও তুমুল সমালোচনার শিকার। "ফখর জামান নিজেই চলন্ত এক উইকেট। ওঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ শোচনীয়। ফখরের নিজেরই উচিত খেলতে অস্বীকার করা। স্লোয়ার ট্র্যাকে বাবর দু-একটা ইনিংস বাদ দিয়ে ব্যাট হাতে স্ট্রাগল করে গেল। ক্যাপ্টেন হিসাবেও নিজেকে মেলে ধরতে হবে। দাপট দেখানোর মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ওঁকে।" বলেছেন রামিজ।
চোট পাওয়া ইমাম উল হক, সাউদ শাকিলকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। দুজনের কাছেই পেট খারাপ নিয়ে ইনজামাম উল হকের ৩৭ বলে ৬০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, "১৯৯২-এর সেমিফাইনালের সকালে ইনজামাম মাঠেই নামতে চাইছিল না। ওঁকে জোর করে খেলানো হয়। বলা হয়, ও ছাড়া দলের কাছে আর কোনও অপশন নেই। তারপর মাঠে নেমে দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে যায় ও। হাফ-ফিট প্লেয়ারদের রিস্ক নিতে হবে। গ্রেট হওয়ার জন্য।"
আর শ্রীলঙ্কার কাছে হারের জন্য একহাত নিয়েছেন দলকে একহাত নিয়েছেন শোয়েব আখতারও। বলে দিয়েছেন, দ্রুতই দলকে প্ৰথম একাদশ ঠিক করতে হবে। "পাকিস্তান ফাইনালে খেলার যোগ্য। ওঁরা ফেভারিট ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাইনালে ভারত বনাম পাকিস্তান হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। কঠিন মুহূর্তে নার্ভ ধরে রেখেছিল ওঁরা।"
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে লজ্জার পর আবারও খারাপ খবর! বিশ্বকাপেও দুঃসংবাদ তাড়া করল পাকিস্তানকে
"আমাদের মিডল অর্ডারে কোনও গভীরতা নেই। এছাড়াও কোয়ালিটি স্পিনার নেই আমাদের। খুব লজ্জাজনকভাবে হারতে হল আমাদের। মোটেই ভাল লাগছে না। পাকিস্তানের পেস ব্যাটারির ব্যর্থতা, ওপেনারদের ফর্ম, মিডল অর্ডারের ধসে পড়া, স্পিনাররা রান আটকাতে ব্যর্থ হওয়া- বিশ্বকাপের আগে সমস্ত ধাঁধা সমাধান করতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।"
"তবে এত কিছুর পরেও পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড কাপে ফেভারিট। তবে ওঁদের বেশ কিছু সমস্যা মেটাতে হবে। নেতৃত্ব আরও ধারালো করতে হবে। আমার বিশ্বাস ভারতে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভালো সম্ভবনা রয়েছে। ওঁদের ভাবতে হবে এশিয়া কাপে কোথায় কোথায় ভুল হল! মহম্মদ নওয়াজ এবং হ্যারিস মোটেই নিয়মিত নয়। ইফতিকারের আগে ওঁদের ব্যাট করতে পাঠানো হল। কীভাবে ওঁরা ব্যাটিং অর্ডারে আগে প্রমোশন পায়?" শোয়েব নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন।