এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়ে বড়সড় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল পাকিস্তান। পাক দলের বর্তমান মিডিয়া ম্যানেজার উমর ফারুখ কালসন এবং বোর্ডের জিএম আদনান আলির বিরুদ্ধে উঠে গেল ক্যাসিনোয় গিয়ে জুয়া খেলা। পাক দলের সঙ্গে যুক্ত দুজনেরই কলম্বোর ক্যাসিনোর যাওয়ার ছবি আপাতত ভাইরাল।
পাক দলের সঙ্গে সরকারি ভাবে দুজন শ্রীলঙ্কায় এসেছেন। এমন অবস্থায় ক্যাসিনোয় যাওয়া পুরোপুরি আইসিসির কোড অফ কনড্যাক্ট ভঙ্গ করার শামিল। যা নিয়ে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখারও টনক নড়েছে।
এমন ঘটনা জানাজানি হতেই বহু পাক সমর্থক জানাচ্ছেন, কীভাবে পাক দলের আধিকারিক এতটা নীতিজ্ঞান শূন্য হতে পারেন! অনেক পাক সমর্থকই সেদেশের বোর্ডের কর্মকর্তাদের একহাত নিয়েছেন।
পিসিবি সূত্রে একজন জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫-২০ জন আধিকারিক নিয়মিত কলম্বো থেকে পাকিস্তানে যাতায়াত করেছেন। অনেকেই আবার কলম্বোয় থেকে গিয়েছেন সাময়িকভাবে। যেহেতু এশিয়া কাপের মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তান।
পাক মিডিয়ায় দুই আধিকারিকের ক্যাসিনো যাওয়ার খবর উত্তাল হওয়ার পর অভিযুক্ত দুজনই জানিয়েছেন, স্রেফ তাঁরা ক্যাসিনোয় ডিনার করতে গিয়েছিলেন। যা নিয়ে রীতিমত সন্দেহের উদ্রেক ঘটিয়েছে পাক ক্রিকেট মহলেই। ক্রিকেট সাংবাদিক ওমর আলভি লিখেছেন, "ক্যাসিনোয় কে নৈশভোজ সারতে যায়? জুয়া খেলার জায়গায় কে খাবার খুঁজতে যায়? ওঁরা কাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে!" প্রাক্তন পাক তারকা মহসিন খান-ও দুই পাক তারকার কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে বিস্মিত।
পাক মহলের ব্যাখ্যা যেখানে জুয়ার আসর বসেছে, সেখানে মোটেই দুই পাক বোর্ডের আধিকারিকের যাওয়া উচিত হয়নি। তিনি বলছেন, "এমন চাপের মুখে পিসিবির ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি মোটেই সহজে ব্যাপারটা ছেড়ে দেবে না। দেশে ফিরলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে দুজনের।"
ঘটনাচক্রে, ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় তৎকালীন পাক দলের ম্যানেজার মঈন খানকে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই ক্রাইস্টচার্চের এক ক্যাসিনোয় জুয়া খেলেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় মঈনও নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। তবে তৎকালীন পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান স্পষ্ট জানান, মঈন দলের নিয়ম শৃংখলা নীতি ভেঙেছেন।
মঈনকে ছাঁটাই করে শাহরিয়ার খান দলের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, সকলকেই দলীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিটির নিয়ম মানতে হবে। আইসিসির নিয়মেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, দুর্নীতির যেখানে সম্ভবনা রয়েছে, জুয়া খেলা যেখানে সংঘটিত হয়, সেখানে যাওয়া একদমই নিষেধ।