এশিয়া কাপের ফাইনালের মঞ্চ। সেই মঞ্চে কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ২১ রানের বিনিময়ে হাফডজন উইকেট। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করা মহম্মদ সিরাজ ম্যাচের সেরা। আর ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েই বড়সড় ঘোষণা করে দিলেন মহম্মদ সিরাজ। বলে দিলেন, মাঠকর্মীদের উদ্দেশ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার অর্থ দিচ্ছেন তিনি। ম্যাচের পরেই ইতিহাস গড়া নায়ক বলে দিলেন, "গ্রাউন্ডসম্যানদের উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার অর্থ উৎসর্গ করছি। ওঁদের সাহায্য ছাড়া এই টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব ছিল না।"
ফাইনালের সেরা হওয়ার সুবাদে সিরাজ ৫ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক দাঁড়ায় ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার কিছু বেশি। পুরো টাকাই তিনি দান করে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার জন্য নয়! মুখরক্ষা হতেই ফাইনালের মঞ্চে কোটি কোটির পুরস্কার জয় শাহের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের রবিবারের স্পেল, কেরিয়ারের সেরা বলে দাগিয়ে দিলেন, "বেশ কিছুদিন ধরে দারুণ বোলিং করে চলেছি। তবে এর আগে ব্যাটের কানা মিস করছিল আমার ডেলিভারি। সেগুলোই এদিন ঠিকঠাক হল। উইকেটে যথেষ্ট সুইং ছিল।এদিনও সুইং করে গেল। এই সুইংয়ের জন্যই ফুল লেংথে বল করে গেলাম। দলের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে যদি বন্ডিং ভালো থাকে, তাহলে দলই উপকৃত হয়।"
রবিবার ছয় উইকেট দখল করার মঞ্চে সিরাজ বলে দিলেন, বছরের শুরুতে আরও একটা ইনিংসে পাঁচ উইকেট মিস করেছিলেন অল্পের জন্য। গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ সিরিজে হারিয়েছিল। আর শেষ ম্যাচে লঙ্কান ব্যাটিং রবিবারের মতই গুঁড়িয়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সিরাজ সেই ম্যাচেও প্ৰথম চার উইকেটের তিনটে শিকার করেছিলেন। তবে সেবার প্ৰথমবারের মত ওয়ানডে কেরিয়ারের ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই যুগ্মভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট শিকারের নজির। এই একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভ্যাস। ২০০৩। শ্রীলঙ্কার মাটিতেই ২০ বছর পর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সিরাজের হাত ধরে।
আরও পড়ুন: ছেলেখেলা করে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত! সিরাজের স্বপ্নের স্পেলে লজ্জার কেলেঙ্কারি শ্রীলঙ্কার
ইনিংসের মাঝের বিরতিতে সিরাজ সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে বলে গেলেন, "স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। তিরুবন্তপুরুমে শেষবার চার উইকেট পেয়েছিলাম। সেবার ৫ উইকেট পাওয়া হয়নি। ভাগ্যে যা আছে, সেটা অর্জন করবই একদিন।"
"এদিন বেশিকিছু করিনি। সাদা বলে বরাবর সুইংয়ে আস্থা রেখেছি। আগের ম্যাচে বেশি সুইং পাইনি। এদিন সুইং হচ্ছিল। বেশিরভাগ উইকেট এল আউটসুইংগারে। চাইছিলাম ব্যাটাররা যাতে ড্রাইভ করতে বাধ্য হয়।"