ভারত: ২১২/২
আফগানিস্তান: ১১১/৮
ভারত ফিরল ভারতের মতোই। প্ৰথমে কিং কোহলির প্রত্যাবর্তন। তারপরে বল হাতে কেরিয়ারের সেরা স্পেল ভুবনেশ্বরের। জোড়া ফলায় গিঁথে খতম আফগানিস্তান। একদিন আগেই পাকিস্তানকে মরণ-কামড় দিয়ে ভারতকে ফাইনালের অক্সিজেন প্রায় দিয়ে দিয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে পাকিস্তান কোনওরকমে জিতে ফাইনালে পৌঁছনো নিশ্চিত করে।
ঠিক তার ২৪ ঘন্টা পরেই লড়াকু আফগানরা অসহায়ভাবে ভেঙে পড়ল ভারতের সামনে। ভারতের ২১৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রশিদ খানরা শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে তুলল ১১১ । নিয়ম রক্ষার লড়াইয়ে ভারতের জয় এল রানে ১০১ রানে।
টসে জিতে প্ৰথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তান। আর বিশ্রামে থাকা রোহিত শর্মার জায়গায় ওপেন করতে নেমেই সেরা ফর্মের কোহলি। ঠিক তিন বছরের মাথায়। শেষবার ২০১৯-এর নভেম্বরে শতরান করেছিলেন কোহলি। তারপর সময় পেরিয়ে গিয়েছিল অনেকটা। রান এসেছে কচ্চিৎ কদাচিৎ। তবে শতরানের দেখা পাননি কিং কোহলি। দিন, বছর, মাস কেটেছে। শেষমেষ এশিয়া কাপে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।
আরও পড়ুন: রাজা ফিরলেন রাজার মত! তিন বছর অপেক্ষা মিটিয়ে এল কোহলির ৭১তম শতরান
নিয়মরক্ষার ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে এল কোহলির ৭১তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে কেএল রাহুলের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে নেমে প্ৰথম থেকেই মারকুটে মেজাজে মহাতারকা।
দুবাইয়ের মাঠে কোহলির বহু প্রতীক্ষিত শতরান এল মাত্র ৫৩ বলে। বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন যথাক্রমে ১২ টি এবং ৬টি। চলতি এশিয়া কাপে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন কোহলি। পাকিস্তান এবং হংকং ম্যাচে রান পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্ৰথমে হাতাহাতি, তারপরে ব্যাট উঁচিয়ে মারার হুমকি! আগুন জ্বলল পাক-আফগান ম্যাচে, ভিডিওয় দেখুন
আর আফগানদের বিরুদ্ধে সেই পুরোনো কোহলি। রাজকীয় মাস্টার। কেএল রাহুল অন্যপ্রান্তে ৪১ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে গেলেও কোহলি শতরান করে শেষমেশ ৬১ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থেকে যান।
কোহলি যদি ভারতের দুর্ধর্ষ দাপটের রিংটোন সেট করে দেন দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে ফিরলেন ভুবনেশ্বরও। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচে জঘন্য বোলিং তাঁর অভিজ্ঞতার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। তবে ভুবনেশ্বর কেরিয়ারের সেরা বোলিং করে গেলেন বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন: আগুন জ্বলল শারজায়! পাক-আফগান সমর্থকদের দাঙ্গায় নষ্ট কোটি কোটির সম্পত্তি, দেখুন ভিডিও
হোক না ডেড রাবার। সেরার সেরা বোলিং করে ভুবনেশ্বর নিজের ৪ ওভারের কোটায় খরচ করলেন মাত্র ৪ রান। বিপক্ষের পাঁচ জনকেই আউট করলেন। প্ৰথম ওভারেই দুই আফগান ওপেনার হাজরতুউল্লাহ এবং গুরবাজকে ফিরিয়ে চরম ধাক্কা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কোনও রকমে ১১১ রানে থেমেছে আফগান ইনিংস।
একসময় ২১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান টি২০-তে সর্বনিম্ন রানের নজির গড়ার পথে এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটা। ইব্রাহিম জারদান একপ্রান্তে টিকে গিয়ে ৬৪ না করলে আফগান ইনিংস হয়ত লজ্জার রেকর্ড গড়ত। শেষদিকে রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমান যথাক্রমে ১৫ এবং ১৪ করে দলকে লজ্জার হাত থেকে উদ্ধার করে কোনওরকমে দলের স্কোর ১০০ পেরোতে সাহায্য করেন।