ভারত: ২০২/৪
নেপাল: ১৭৯/৯
নেপালকে টানটান ম্যাচে ২৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। ভাবা হয়েছিল হাংঝৌয়ের পিংফেং স্টেডিয়ামে নেপালকে উড়িয়ে দেবে রুতুরাজ গায়কোয়াডের শক্তিশালী টিম ইন্ডিয়া। তবে তা মোটেই হল না। নেপালকে হারাতে কার্যত কালঘাম বেরিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার। ভারতের ২০৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতকে একসময় ম্যাচ হারিয়ে দিচ্ছিলেন নেপালি ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষমেশ নেপাল কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ১৭৯/৯ তুলল।
৭৭/৪ হয়ে গিয়েছিল একসময় নেপাল। তবে আবেশ খানদের বোলিংয়ের সামনে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিয়ন দিপেন্দ্র সিং, সন্দীপ জোরা, করণ কেসিদের ব্যাটে ভর করে অঘটনের সম্ভবনা জাগিয়ে তুলেছিল নেপাল। শেষমেশ আবেশ খান, অর্শদীপ সিংদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারত ম্যাচ বের করে নেয়।
নেপালের ব্যাটিং শুরুতে ধাক্কা খায় আবেশ খানের বোলিংয়ে। অভিষেককারী সাই কিশোর ফিরিয়ে দেন কুশন ভুরতেলকে। ক্রমবর্ধমান রান চেজের মুখে নেপাল নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চলেছিল।
তার আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। ক্যাপ্টেন রুতুরাজের সঙ্গে যশস্বী পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪ ওভারেই পঞ্চাশ হাঁকিয়ে যান। ক্যাপ্টেন আউট হয়ে গেলেও জয়সোয়াল মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন।
এরপরে ভারত দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায়। সম্পাল কামি আউট করেন তিলক ভার্মাকে। সন্দীপ লামিছানে তুলে নেন জিতেশ শর্মাকে। যশস্বী জয়সোয়াল এলপ্রান্ত টিকে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যান। মাত্র ৪৮ বলে শতরান করার পথে চারটে ছক্কাও হাঁকিয়ে যান। শেষদিকে নেমে রিঙ্কু সিং-ও ১৫ বলে ৩৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়ে যান। শেষ ওভারে দুটো ওভার বাউন্ডারিজ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতকে ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে দেন।