চিনে চক দে! এশিয়ান গেমসে কোনওরকমে জোড়াতালি দেওয়া দল নিয়েই শেষ ষোলোয় পোঁছে গেল সুনীল ছেত্রীর টিম ইন্ডিয়া। মায়ানমারের সঙ্গে ড্র করলেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যেত টিম ইন্ডিয়া। শেষমেশ পড়শি মায়ানমারের সঙ্গে ১-১ ড্র করেই ভারত শেষ ষোলোয় পোঁছে গেল।
১৩ বছর পর মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ছেড়ে একমাত্ৰ গোল করে গেলেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী। দ্বিতীয়ার্ধ-এ মায়ানমার সমতা ফেরালেও ভারতের পরের রাউন্ডে যাওয়া আটকায়নি।
আগের ম্যাচেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের মুখরক্ষা করেছিল সুনীলের পেনাল্টি। রবিবার মায়ানমারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারত পেনাল্টি আদায় করে ২৩ মিনিটে। বক্সের মধ্যে রহিম আলিকে ফাউল করা হলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মায়ানমারের তীব্র আপত্তিতেও নির্দেশ বদলাননি রেফারি। সেখান থেকেই দুরন্ত গোল করে ভারতকে লিড এনে দেন ক্যাপ্টেন সুনীল।
ঝড়ের গতিতে শুরু করেছিল মায়ানমার। টানা আক্রমণ শানাতে থাকেন বার্মিজ ফুটবলাররা। ভারত প্রতি আক্রমণে লড়াই চালালেও ফাইনাল থার্ডে খেই হারিয়ে ফেলছিল। এরপরে মায়ানমার বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি। বিরতিতে ১-০ লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ভারত।
ভারতের ভাগ্য প্রসন্নই বলতে হবে। জোড়া হলুদ কার্ড দেখে চিন ম্যাচের ওয়ান্ডার গোলদাতা রাহুল কেপি এদিন মার্চিং অর্ডার পেতে পারতেন। ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন তিনি জিন হেইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। বিরতির আগে আরও একবার হেইনকে ফাউল করেন তিনি। তবে এবার হলুদ কার্ড দেখানোর বদলে রাহুলকে ওয়ার্নিং দিয়েই ছেড়ে দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয় মায়ানমার। ৬০ মিনিটে মায়ানমারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার ধীরাজ সিং। তবে ৭৩ মিনিটে আর পারেননি। পরিবর্ত হিসাবে নেমে ক্যা হুতে গোল করে যান।
শেষ ষোলোয় যাওয়ায় জন্য মায়ানমারকে এই ম্যাচ জিততেই হত। তবে সন্দেশ, গুরকিরতদের দৃঢ়তায় আর গোলের সন্ধান পায়নি মায়ানমার।