কোনও ট্রেনিং সেশন ছাড়াই এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নেমে ধসে গিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারত গ্রুপের মাস্ট উইন ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
জোড়াতালি দেওয়া ভারতীয় দল হাংঝুতে পৌঁছেছিল সোমবার রাতে। কোনও বিশ্রাম ছাড়া, অনুশীলন ছাড়াই খেলতে নেমে চিনের কাছে ১-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে। নকআউট পর্বে পৌঁছনোর জন্য ভারতকে আপাতত জিততেই হবে বাংলাদেশ ম্যাচে।
মঙ্গলবার হারলেও অবশ্য ভারত খাতায় কলমে ছিটকে যাবে না। কারণ ছয় গ্রুপের মধ্যে সেরা তৃতীয় স্থানাধিকারী দলও শেষ ষোলোয় পৌঁছতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে ভারতীয় দলকে অনেক অঙ্ক, হিসেবের সম্মুখীন হতে হবে। তাছাড়া সেরা তৃতীয় স্থানের দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলে কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশ কোনওভাবেই অন্তত ভারতের কাছে সহজ প্রতিপক্ষ নয়। মায়ানমারের কাছে প্রথম ম্যাচে ০-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশও জিততে মরিয়া থাকবে ভারতের বিপক্ষে।
ভারতের শক্তি বাড়িয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন চিঙ্গলসানা সিং। ভিসা সমস্যায় এর আগে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে চিনে আসতে পারেননি। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার তরফে চিঙ্গলসানার জন্য এক্সপ্রেস ভিসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। যাতে ২-৩ দিনের মধ্যেই ভিসা পাওয়া সম্ভব। তিনি আপাতত পৃথকভাবে চিনে হাজির হয়েছেন।
সুনীল ছেত্রীদের পক্ষে বাংলাদেশকে হারানো মোটেই সহজ হবে না। কারণ একদম শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে জোড়াতালি দেওয়া দল নামানো হয়েছে। যাঁরা অনেকেই আগে স্টিম্যাচের কোচিংয়ে খেলেননি। ফলে তালমিলও গড়ে ওঠেনি নিজেদের মধ্যে।
চিনের বিপক্ষে প্ৰথম ৪৫ মিনিট ভারত সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধ-এ সব তালগোল পাকিয়ে যায়। ক্লান্ত ভারতীয়রা একের পর এক গোল হজম করে বসে। বিরতির পর প্রকট হয়ে যায় দুই দলের পার্থক্য।
কোচ স্টিম্যাচ শোচনীয় হারের পর জানাচ্ছেন, ভারতের তৃতীয় সারির দল নিয়ে চিনে এসেছেন। "দেশের তৃতীয় অথবা চতুর্থ সারির দল নিয়ে খেলতে নামতে হয়েছে এখানে। সেরা দল নিয়ে চিনের মোকাবিলা করতে চাই। তাহলে হয়ত ফলাফল অন্য হতে পারে। তবে যে প্লেয়াররা এখানে রয়েছে, তাঁরাও হিরো।"
"ওঁরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেল, যাতায়াতের সমস্যা, একদম শেষ মুহূর্তে এখানে হাজির হওয়া, রিকভারির জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া, তারপরেও ওঁরা প্ৰথম ৪৫ মিনিট যা খেলল তাতে কুর্নিশ প্রাপ্য।"
"আমি বাস্তববাদী হতে চেয়েছিলাম। জানতাম এরকম কিছু একটা ঘটতে চলেছে। তিনজন বাদ দিয়ে বেঞ্চেও কেউ ছিল না। আমরা ট্যাকটিক্যাল কোনও প্ল্যানই করতে পারলাম না। দ্বিতীয়ার্ধে তাই ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলা গেল না।"