ভেঙে গেল যুবরাজ সিংয়ের ১৬ বলের রেকর্ড। টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড করে গেলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং। ৯ বলে করলেন অর্ধশতরান। ২০০৭-এ যুবরাজ সিং মাত্র ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মঙ্গলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে নেপালের দীপেন্দ্র সিং ১০ বলে ৫২ করে অপরাজিত থাকেন।
এশিয়ান গেমসে গ্রুপ ম্যাচের খেলা চলছে। সেখানেই মঙ্গলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল নেপাল। আর এই ম্যাচেই রেকর্ডের বন্যা। নেপাল প্রথমে ব্যাট করে ৩১৪/৩ তুলল। নির্ধারিত ২০ ওভারে। প্ৰথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে টি২০-তে তিনশো রানের গন্ডিও অতিক্রম করল নেপাল। টি২০-তে এটাই দলগত সর্বোচ্চ রান।
কুশল মাল্লা ৩৪ বলে অপরাজিত সেঞ্চুরি করলেন। টি২০ ক্রিকেটের প্ৰথম নেপালি ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান করলেন কুশল মাল্লা। এতদিন টি২০-তে দ্রুততম শতরানের মালিক ছিলেন যুগ্মভাবে রোহিত শর্মা এবং ডেভিড মিলার। দুজনেই ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই রেকর্ডও চাপা পড়ে গেল কুশল মাল্লার বিধ্বংসী ব্যাটে।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে মংগোলিয়ার বোলিংয়ের সামনে বরং নেপালের ব্যাটিং কিছুটা ধীরগতিতেই শুরু করেছিল। তবে তৃতীয় উইকেটে ধামাকা দেখিয়ে যান কুশল মাল্লা (৫০ বলে ১৬৭) এবং অধিনায়ক রোহিত প্রুডেল (২৭ বলে ৬১)। দুজনে ৬৫ বলে ১৯৩ রানের জুটি গড়েন। নিজের ইনিংসে কুশল মাল্লা হাঁকান আটটা বাউন্ডারি, একডজন ওভার বাউন্ডারি। অন্য প্রান্তে ব্যাটে ঝড় তোলা প্রুডেল দুটো বাউন্ডারি এবং ছয়টা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান।
১৯তম ওভারের প্ৰথম বলেই প্রুডেল আউট হয়ে যান। ইনিংসের ১১ বল বাকি থাকতে ব্যাট করতে নামেন দীপেন্দ্র সিং। এবং ইতিহাস গড়ে যান। প্ৰথম যে ছয়টা বল ফেস করেন দীপেন্দ্র, প্রত্যেক বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। মংগোলিয়ার হয়ে এর্ডেনেবুলগেন, জামায়াসুরেন এবং আলতানখুযেগ একটি করে উইকেট দখল করেন।
মংগোলিয়া ২০২১-এ আইসিসির এসোসিয়েট দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মধ্য এশিয়ার দলটির বুধবারই অভিষেক ঘটল। অভিষিক্ত দলটি শুরুতেই লজ্জার কেলেঙ্কারি ঘটাল।
রবিবার নেপাল গ্রুপ-এর পরবর্তী ম্যাচে খেলতে নামবে মালদ্বীপের বিপক্ষে। গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করতে পারলে নেপাল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছবে। যেখানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মত শক্তিধর দেশগুলির মোকাবিলা করতে হবে। এশিয়ার প্ৰথমসারির দলগুলি সকলেই দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে এশিয়ান গেমসে।