বাংলাদেশ: ৯৬/৯
ভারত: ৯৭/১ (৯.২ ওভার)
ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবল-হকিতেও ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হচ্ছিল বাংলাদেশ। এবার এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনালেও ভারতের কাছে দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশ। নেপালের কাছে ভারতের আগের ম্যাচে জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে ভারতকে ন্যূনতম চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিতে পারল না। ব্যাটে-বলে ভারতের জয়ের নায়ক তিলক ভার্মা এবং সাই সুদর্শন।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে মাত্র ৯৬/৯ রানে ফিনিশ করেছিল। সামান্য টার্গেট ভারত চেজ করল ৯.১ ওভারে। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। নয় উইকেটে এবং ৬৪ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারত এশিয়ান গেমসের ফাইনালে পৌঁছে গেল।
ফাইনালে পৌঁছে ভারত আপাতত ক্রিকেট থেকে একটি পদক নিশ্চিত করল। ভারত রান চেজ করতে নেমে অবশ্য বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ন যশস্বী জয়সোয়াল প্ৰথম ওভারেই আউট হয়ে যান। তারপর ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং তিলক ভার্মা চার-ছক্কার ফুলঝুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ একপেশে করে দেন। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সোনা জেতার দিকে এগিয়ে দেন। মাত্র ২৬ বলে রুতুরাজ ৪০ এবং তিলক ভার্মা ২৬ বলে ৫৫ করে নটআউট থাকেন। রুতুরাজ নিজের ইনিংসে চারটে বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। অন্যদিকে, তিলক ভার্মা হাফসেঞ্চুরি করার পথে হাঁকান হাফডজন ওভার বাউন্ডারি এবং জোড়া বাউন্ডারি।
টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন গায়কোয়াড। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল। পঞ্চম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে দেন সাই কিশোর। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতকে। ওয়াশিংটন সুন্দর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে ধাক্কা দেন টাইগার শিবিরে। মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ওপার বাংলার ক্রিকেটাররা।
পাওয়ার প্লে-র পর বাংলাদেশের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের ফিঙ্গার স্পিনারদের সামনে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৪১/৫-এ। বাংলাদেশ শেষ চার উইকেট হারায় ৫৫ রান যোগ করার ফাঁকে।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ধসে পড়ে মাত্র ৯৬ রানে। অলআউট না হলেও একশোর গন্ডিও পেরোতে পারেনি টাইগাররা।
সাই কিশোর ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ১২ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৫ রানের বিনিময়ে দখল করেন ২ উইকেট। তিলক ভার্মা, রবি বিশ্নোই, অর্শদীপ সিং, শাহবাজ আহমেদ প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট শিকার করেন। আবেশ খানকে বসিয়ে এদিন খেলানো হয় শাহবাজ আহমেদকে। বাংলাদেশ ইনিংসে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন মাত্র তিনজন। ওপেনার ৩২ বলে ২৩ করেন। লোয়ার অর্ডারে উইকেটকিপার জাকের আলি (২৪) এবং রাকিবুল হাসান (১৪) বাদে কেউই দুই অঙ্কের গন্ডি পেরোতে পারেননি।