এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে সোনাজয়ের প্রধান দাবিদার হিসাবে খেলতে নেমেছে রুতুরাজ গায়কোয়াডের টিম ইন্ডিয়া। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে একপেশে ম্যাচে হারিয়ে। ফাইনালে ওঠার পর ক্রিকেট থেকে পদকজয় নিশ্চিত হয়ে গেল। প্ৰথমে ভারতের ফিঙ্গার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে নাকানিচোবানি খেয়ে মাত্র ৯৬ রানে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেই রান তাড়া করতে নেমেই বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন তিলক ভার্মা। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে খেলা তারকা। নিজের ইনিংসে হাঁকালেন হাফডজন ওভার বাউন্ডারি এবং জোড়া বাউন্ডারি। আর হাফসেঞ্চুরি পুর্ণ করার পরেই তিলক ভার্মাকে দেখা গেল জার্সি উঁচু করে অভিনব উপায়ে সেলিব্রেট করছেন। কেন এমনভাবে উদযাপন? ম্যাচের শেষে নিজেই খোলসা করে বললেন পুরো ঘটনা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর সেভাবে ছাপ ফেলতে পারছিলেন না তারকা। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ম্যাচে খেললেও তানজিম সাকিবের বলে ফিরতে হয়েছিল। এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষেও বড় রানের দেখা পাননি। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরেই এল শুক্রবারের দুর্ধর্ষ ইনিংস। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরেই জার্সি উঁচু করে ক্যামেরার ফোকাসে রাখলেন শরীরের ট্যাটুকে। এরপরে আকাশের দিকে তাকিয়ে হাত জড়ো করতে দেখা যায় তারকাকে।
ম্যাচের পর তিলককে এই উদযাপনের ভঙ্গিমা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন, "বাবা-মায়ের জন্য এই সেলিব্রেশন ছিল। আগের কয়েকটা ম্যাচে ভাল খেলতে না পারায় মানসিকভাবে মোটেই ভাল ছিলাম না। বাবা-মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করব। ট্যাটুটা বাবা-মার জন্যই ছিল। এই তালিকায় বন্ধু সামাইরাও (রোহিত শর্মার কন্যা) ছিল।"
শুক্রবার ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন। ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশকে মাত্র ৯৬/৯-এর বেশি তুলতে দেয়নি। জবাবে ভারত মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে দেয়। শনিবার পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ রয়েছে অন্য সেমিফাইনালে। জয়ী দলের সঙ্গে ফাইনালে ভারত মোকাবিলা করবে। বল হাতে ভারতের জার্সিতে উজ্জ্বল সাই কিশোর। মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দরও ১৫ রান খরচ করে তুলে নেন জোড়া উইকেট। অর্শদীপ সিং, রবি বিশ্নোই, তিলক ভার্মা, শাহবাজ আহমেদ একটি করে উইকেট দখল করেন।