সদ্যসমাপ্ত এশিয়ান গেমসে দেশের হয়ে সেপাক টাকরোতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন হরিশ কুমার। এই খেলাটার সম্বন্ধে অনেকেই ওয়াকিবহল নন এই দেশে। যদিও খালি হাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরেননি তিনি। দেশের জন্য ব্রোঞ্জ নিয়ে এসেছেন হরিশ। কিন্তু উপমহাদেশের মঞ্চে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েও জীবন বদলায়নি হরিশের। নয়া দিল্লির কলোনি এলাকা মঞ্জু কা টিল্লাতে ফিরে সেই চা বিক্রির কাজেই লেগে পড়লেন তিনি।
হরিশের বাবা পেশায় অটোচালক। হরিশ দুপুরে প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগে চা বিক্রি করেন। টাকা উপার্জন করে সংসারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হরিশকে এই কাজ করতে হয়। একাধিক রাজ্য থেকে নগদ অর্থের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন হরিশ। এমনকি সরকারি চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরিশ বললেন, “আমার পরিবারে অনেক সদস্য। অর্থের জোগান সেখানে একেবারেই অল্প। আমি বাবাকে চায়ের দোকানে সাহায্য করি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য়। দুপুর দু’টো থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত রোজ প্র্যাকটিস করি। তার আগে চায়ের দোকানে থাকি।পরিবারের জন্য আমার একটা চাকরির খুব প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: কলকাতায় নিয়ে না এলে স্বপ্নাও চা বাগানে কাজ করত: সুভাষ
হরিশ আরও বলেছেন যে, ২০১১ থেকে এই খেলা শুরু করেন তিনি। তাঁর কোচ হেমরাজ তাঁকে এই খেলায় নিয়ে আসেন। তাঁকে গাড়ির টায়ার নিয়ে খেলতে দেখে হেমরাজ এই খেলায় নিয়ে আসেন। তারপর সাই-তে নিয়ে যান। এখান থেকেই মাসিক একটা টাক ও কিট পান তিনি। ভবিষ্য়তেও এই ভাবেই তিনি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।হরিশের মা ইন্দিরা দেবি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁদের খাবার ও মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কোচ হেমরাজকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাশে থাকার জন্য। হরিশের ভাই ধাওয়ান জানিয়েছেন যে, একসময় তাঁরা বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত দিতে পারতেন না। কোচ হেমরাজই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকারের কাছে চাকরির আবেদন তাঁরও।