Advertisment

ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশের সোনাজয়ী বক্সার, লকডাউনে আটকে বাড়িতে

১৯৯৭ সালে প্রথমবার প্রচারমাধ্যমের শিরোনামে আসেন ডিংকো সিং। ব্যাংককের কিংস কাপ জিতে নিয়েছিলেন তিনি। পরের বছরেই ব্যাংককেই এশিয়ান গেমসের ৫৪ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী বক্সার। তিনিই এখন মরণপণ লড়াই করছেন প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ডিংকো সিং। সেই জন্য দিল্লিতে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা ছিল তাঁর। তবে আচমকা গোটা দেশে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে পিছিয়ে গিয়েছে তাঁর চিকিৎসা।

Advertisment

মণিপুরের বাড়ি থেকে দিল্লিতে আসার জন্য তিনি আপাতত কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপের আশায়।

তারকা বক্সারের স্ত্রী বাবাই দেবী ফোনে মণিপুরের বাড়ি থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "ওর অবস্থা বেশ সংকটজনক। তাই দ্রুত দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এর আগেও ওখানে ওর চিকিৎসা হয়েছিল। এখনো অনেক টেস্ট সহ পুরো চিকিৎসা বাকি রয়ে গিয়েছে। ১০-১৫ দিন আগেই দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। তবে লকডাউনে যেতে পারিনি।"

সাই-য়ের তরফে চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। তিনি জানাচ্ছিলেন, "চিকিৎসার সমস্ত খরচ সাইয়ের তরফে বহন করা হচ্ছে। শেষবার যখন ডিংকো সিং হাসপাতালে ভর্তি ছিল, সেই সময়েও ওঁরা হাসপাতালের বিল মিটিয়েছিল।"

দিল্লিতে চিকিৎসকদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছেন ডিংকো সিংরা। তবে লকডাউন চলায় আপাতত নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। "এখানে তিন বছর আগে কেমোথেরাপি করেছিলাম। সেই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি কেমো দিয়ে সাময়িক স্বস্তি মেলে। তবে এই মুহূর্তে আমার স্বামী ভীষণ দুর্বল ও জন্ডিসে আক্রান্ত। তাই বিপদের সম্ভবনা থাকায় সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়।"

১৯৯৭ সালে প্রথমবার প্রচারমাধ্যমের শিরোনামে আসেন ডিংকো সিং। ব্যাংককের কিংস কাপ জিতে নিয়েছিলেন তিনি। পরের বছরেই ব্যাংককে এশিয়ান গেমসের ৫৪ কেজি হেভিওয়েট ব্যান্টামওয়েট ক্যাটাগরিতে সোনা জেতেন। এরপরে পদ্মশ্রী এবং অর্জুন পুরস্কারও সম্মানিত ।

মণিপুরের ইম্ফলের সেকতার হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন তিনি। বাবাই দেবী জানিয়েছেন, "এখানকার স্থানীয় হাসপাতাল ২০ কিমি দূরে। প্রতিদিন যাতায়াত করা মুস্কিল হয়ে পড়ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। নাহলে চিকিসৎকদের পরামর্শ নিতে হবে।"

Asian Games
Advertisment