/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/image-2021-07-06T193133.167_copy_1200x676_1.jpg)
একসময় তাঁকে নিয়ে সরগরম ছিল ভারতীয় ক্রিকেট। নেটে ব্যাট করার সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খুঁজতেন তাঁকে। সেই প্রকাশ ভগত বর্তমানে চা বিক্রি করছেন। পেটের দায়ে।
আসামের স্পিনার প্রকাশ ভগতের বোলিং একশনের সঙ্গে মিল ছিল নিউজিল্যান্ডের তারকা স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরির। তাই আন্তর্জাতিক স্তরে বাঁ হাতি স্পিনারদের বল মোকাবিলা করার আগে বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেটে খুঁজতেন প্রকাশ ভগতকেই।
আরো পড়ুন: এখনো চুপ কেন! সৌরভের বোর্ডে প্রবল অখুশি কোহলির ইন্ডিয়া, ক্ষোভ প্রকাশ্যে
ভারত যে বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছয়, সেই ২০০৩-এ প্রকাশ ভগত ফোনে ডাক পান এনসিএ-তে আসার জন্য। সেই সময় জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে নিউজিল্যান্ডের সফরের প্রস্তুতি সারছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। সৌরভ এমন একজন বাঁ হাতি স্পিনারকে খুঁজছিলেন যাঁর বোলিং একশনের সঙ্গে মিল রয়েছে ভেট্টোরির।
Assam spinner, once bowled yo Saurav Ganguly now sells Dal-Puri for survival. Prakash Bhagat had played Ranji Trophy matches in 2009/10 and 2010/11. "During my NCA training, I bowled to Sourav Ganguly as New Zealand-bound Indian team was practicing in the academy,” said Bhagat. pic.twitter.com/pP78Mpio0U
— Nandan Pratim Sharma Bordoloi 🇮🇳 (@NANDANPRATIM) July 6, 2021
৩৪ বছরের ভগতের এখনো সেই সমস্ত ঘটনা স্পষ্ট মনে রয়েছে। "সৌরভকে বল করার অভিজ্ঞতা কোনোদিন ভুলব না। আমার বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য ও মুখিয়ে ছিল। তাছাড়া সৌরভ আমাকে অনেক টিপসও দিয়েছিলেন।" বলছিলেন তিনি।
#PrakashBhagat, once a leading cricketer from the state who played in different national and state-level tournaments, now runs a food stall in southern #Assam's Silchar to manage two square meals for his poverty-stricken family. pic.twitter.com/1kXro0Czfr
— IANS Tweets (@ians_india) July 6, 2021
এনসিএ-তে টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলনে ডাক পাওয়ার আগে প্রকাশ অনুর্দ্ধ-১৭ ক্রিকেটে বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে নজর কেড়েছিলেন। আসামের জার্সিতে বিহারের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ সাত উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। আসামের হয়ে সমস্ত বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রকাশ। ২০০৯-২০১০ এবং ২০১১-১২ মরশুমে শেষ পর্যন্ত আসামের হয়ে রঞ্জিতে খেলার সুযোগ পান।
২০১১ সালে রাজ্যস্তরে খেলার সময়েই বাবা মারা যান। তারপর পুরো সংসারের দায়িত্ব চলে আসে প্রকাশের মাথায়। শিলচরে দাদার চায়ের দোকান ছিল। ক্রিকেট ছেড়ে সরাসরি দোকানেই বসে যান তিনি।
অতিমারী আরো সমস্যা নিয়ে হাজির হয় প্রকাশের কাছে। কার্যত জনশূন্য রাস্তায় চা পিপাসুদের দেখা নেই গত দু বছর ধরেই। রাস্তার খাবার জনসাধারণ এড়িয়ে চলার কারণে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি।
প্রকাশ টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছেন, "কিছু বলার নেই। আমরা এমনিতেই দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। লকডাউনে কার্যত অভুক্ত থাকতে হচ্ছে আমাদের। সারাদিনে দোকানে যা বিক্রিবাটা হয়, তাতে দুবেলা খাবার জোটানো সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে যাঁরা রাজ্যস্তরে খেলত, তাঁরা সবাই সরকারি চাকরি পেয়েছে। প্রত্যেকেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত। আর আমি এখনো লড়াই করছি প্রতিদিন।" হতাশ হয়ে বলতে থাকেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন