ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত মুখ তিনি। জাপানি হয়েও ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন নির্ধিদ্বায়। এটিকে, ইস্টবেঙ্গলের মত কলকাতার বড় দলেও খেলে গিয়েছেন। জাপানি তারকা আরাতা ইজুমি এবার কোচিং কেরিয়ার শুরু করলেন ভারতেই। আইলিগের নতুন দল ইন্টার কাশির সহকারী কোচ নিযুক্ত হলেন তিনি।
সিমনোসেকিতে জন্ম। কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন সিঙ্গাপুরের এক ক্লাবের জার্সিতে। জাপানি লিগে মিৎসুবিশির হয়েও খেলেছিলেন এক বছর। তবে ২০০৭-এ ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আইলিগে পদার্পনের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তারকা মিডফিল্ডারকে। ভারতে লাল-হলুদ জার্সিতে প্ৰথম সিজনে শুরুর দিকে আবহাওয়ার জন্য মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়ছিলেন। তবে দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন। ১৪ ম্যাচে ১ গোল, ১০ এসিস্ট সহ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে শুরুর সিজনে চমকে দেন।
এরপরে আইলিগে মাহিন্দ্রা, পুণে, নেরোকার মত দলে যেমন খেলেছেন, তেমন আইএসএল কাঁপিয়েছেন এটিকে, কেরালা ব্লাটার্সের হয়ে। ২০১৫-য় ড্রাফটিং থেকে আইএসএল-এ এটিকের জার্সিতে খেলার সুযোগ পান আরাতা। পুণে থেকে লোনে খেলতে নেমেই দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স করে যান সেবার আরাতা ইজুমি। ১১ ম্যাচে লাল-সাদা জার্সিতে ৫ গোল করেন। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচ তো বটেই পেলের সামনে যুবভারতীতে আরাতা গোল করেছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষেও।
সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল কেরিয়ারের শেষ সিজনে কেরালার জার্সিতে খেলে। কেরালা ব্লাটার্সের হয়ে অভিষেক ম্যাচও ছিল এটিকের বিপক্ষে।
ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের সুবাদে জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ পান। উইম কোয়েভারম্যান্সের টিম ইন্ডিয়ার নিয়মিত সদস্য ছিলেন আরাতা।
খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেই কোচিংয়ে মনোনিবেশ করেন আরাতা। রিল্যায়েন্স ইয়ং চ্যাম্প-এর কোচ ছিলেন এতদিন। পেশাদারি সার্কিটে ইন্টার কাশির সহকারী হিসাবে যাত্রা শুরু হল তাঁর। আইলিগের দল ইন্টার কাশিতে বিনিয়োগ রয়েছে জেরার্ড পিকে, আতলেতিকো মাদ্রিদের। সেই দলের হেড কোচ বাছা হয়েছে কার্লোস সান্তামারিনাকে। তাঁরই সহকারী হিসাবে নতুন যাত্রা শুরু করবেন আরাতা ইজুমি।