এটিকে মোহনবাগান: ০
এফসি নাফাস: ৬ (প্রীতম কোটাল-আত্মঘাতী, নরচয়েভ-৩, বজোরভ, নারজউল্লেভ)
হাবাসের দুর্বোধ্য স্ট্র্যাটেজি। এবং সবুজ মেরুন জার্সিধারীদের শোচনীয় ফুটবল। দুইয়ের স্পর্শে এএফসি কাপে কালো দিন ফেরালো এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের আন্ত:জোনাল সেমিফাইনালে এটিকেএমবি হাফডজন গোলে লজ্জার হার হজম করল উজবেকিস্তানের এফসি নাফাসের কাছে।
নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে মোহনবাগান খেলতে নেমেছিল। সন্দেশ জিংঘান নেই। সেই সঙ্গে না থাকার তালিকায় ছিলেন তিরি, হুগো বৌমাসরাও। এশিয়ার অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে স্টপ গ্যাপ স্টপার হিসাবে হাবাস বেছেছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ এবং প্রীতম কোটালকে। অনভিজ্ঞ পজিশনে সারা ম্যাচেই নড়বড় করে গেল ইন্দো-আইরিশ জুটি। সেই সঙ্গে এদিন ডুবিয়ে দিলেন সাইডব্যাকে আশুতোষ মেহতা। নড়বড়ে দুই স্টপার এবং স্লো মোশনের মত শ্লথ আশুতোষ- এমন রক্ষণকে গোলের মালা পড়াল উজবেক ক্লাব।
আরও পড়ুন: ১০ জনের বসুন্ধরাকে হারাতে ব্যর্থ কৃষ্ণরা, ড্র করে নকআউটে সবুজ মেরুন
শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের তিন মিনিটে প্রীতমের আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে। তারপরে বিরতিতে স্কোরলাইন ছিল ৫-০। সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মজার ছলে খেলে আরও এক গোল নাফাসের। প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোলের পরে ১৩ মিনিটের ঝোড়ো স্পেলে হ্যাটট্রিক করে গেলেন নাফাস তারকা নরচয়েভ। সংযোজিত সময়ে ৫-০ করেন বজোরভ। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোল নারজউল্লেভের।
এমন লজ্জাজনক হারের পরেই হাবাসের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রক্ষণ নড়বড়ে দেখেও সারাক্ষণই হাবাস খেলিয়ে গেলেন আশুতোষ মেহতাকে। বিরতির পরে লিস্টন কোলাসো এবং সুসাইরাজকে নামালেও প্রবীর দাসকে বসিয়ে রাখলেন ডাগ আউটে।
কয়েকদিন আগেই প্রবীরের দল ছাড়ার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। কোচের সঙ্গে সমস্যায় দল ছাড়তে চাইলেও শেষপর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানেই থেকে গিয়েছিলেন। তবে কোচের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি হয়নি। তা নাফাস ম্যাচেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুসাইরাজ গত মরশুমে আইএসএলে একটা ম্যাচ খেলেই চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন গোটা মরশুমে। তারপরে এদিনই হাবাস তাঁকে প্রথম নামালেন। চোট সারিয়ে এফসির মত মঞ্চে ফুটবলারকে প্রত্যাবর্তন ঘটালেও হাবাস নামলেনই না প্রবীরকে।
এএফসির মত মঞ্চে এই কেলেঙ্কারি হাবাসের ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
এটিকে মোহনবাগান একাদশ:
মনবীর সিং, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ, শেখ সাহিল, জনি কাউকো, লেনি রদ্রিগেজ, কার্ল ম্যাক ম্যাকহিউ, আশুতোষ মেহতা, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বোস, অমরিন্দর সিং
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন